ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে দুই ক্লাবের। প্রতিপক্ষকে এক রকম উড়িয়ে পরের রাউন্ডে পৌঁছেছে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। আরেক ম্যাচে ইন্টারনাৎসিওনালের কাছে হেরে যাওয়ার পরও প্রথম লেগে এগিয়ে থাকায় কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে লিভারপুল।
অস্ট্রিয়ার ক্লাব রেডবুল সালজবুর্গকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বায়ার্ন। আর ইতালির ইন্টারের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লিভারপুল।
সালজবুর্গের মাঠে প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। দ্বিতীয় লেগে অনেকেই প্রত্যাশায় ছিলেন একটা অঘটনের। বায়ার্নকে ঘরের মাঠে আটকে দিতে পারলেই সালজবুর্গ পরের রাউন্ডে চলে যেত।
তবে সে প্রত্যাশাকে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা ধুয়ে-মুছে ফেলে প্রথম ৩০ মিনিটেই। অস্ট্রিয়ানদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় তারা।
বায়ার্নের গোলমেশিন রবার্ট লেওয়ানডোভস্কি মাত্র ২৩ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক তুলে নেন। এর মধ্যে প্রথম দুই গোল আসে পেনাল্টি থেকে ১২ ও ২১ মিনিটে। লেওয়া হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে ২৩ নম্বর মিনিটে।
স্বাগতিক দলের হয়ে চার নম্বর গোল আসে সার্জ জিনাব্রির পা থেকে।
৪-০ গোলে এগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরও শান্ত ছিল না বায়ার্ন। টমাস মুলারের দুই স্ট্রাইক ও লেরয় সানের গোলে প্রতিপক্ষের জালে একে-একে ৭ বার বল জড়ায় তারা।
৭০ মিনিটে সফরকারী দলের হয়ে মউরিটস কায়েরগার্ড এক গোল শোধ করলেও ম্যাচের ফলে তা কোনো অবদানই রাখতে পারেনি।
দুই লেগ মিলিয়ে ৮-২ গোলে এগিয়ে শেষ আটে পৌঁছায় বায়ার্ন।
রাতে আরেক ম্যাচে নিজ মাঠে ইতালির চ্যাম্পিয়ন ইন্টারের মুখোমুখি হয় লিভারপুল। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ২-০ গোলে জিতে এসেছিল তারা। ফলে ইন্টারের ওপর দায়িত্ব ছিল লিভারপুলের মাঠে অন্তত ২ গোলের ব্যবধানে জেতার।
সেটা করতে ব্যর্থ হয় সফরকারী দল। ১ গোলের বেশি তারা দিতে পারেনি লিভারপুলকে।
৬১ মিনিটে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেসের পা থেকে আসে জয়সূচক গোল। ৬৩ মিনিটে ইন্টারের আলেক্সিস সানচেস লাল কার্ড পেলে প্রায় ৩০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় ইন্টারকে।
ফলে ম্যাচে ফেরা হয়নি তাদের। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের জয় নিয়ে পরের রাউন্ডে চলে যায় লিভারপুল।