প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) আসার পর ভক্তরা মুখিয়ে ছিলেন মেসি-নেইমার জুটির চমক দেখতে। কিন্তু গেল ৬ মাসে নেইমার বেশির ভাগ সময় চোটের কারণে ছিলেন মাঠের বাইরে।
সে ফাঁকে দারুণ সমঝোতা গড়ে উঠেছে লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপের। নেইমারের বদলে এমবাপেই হয়ে উঠেছেন মাঠে মেসির প্রিয় সঙ্গী।
এই দুই তারকার নৈপুণ্যে শনিবার রাতে সাঁ এতিয়ের বিপক্ষে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে পিএসজি। নিজ মাঠে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ফরাসি জায়ান্টরা। সহজ জয়ে এমবাপে করেছেন জোড়া গোল। দানিলোর পা থেকে এসেছে একটি। আর দুটি গোলে অ্যাসিস্ট ছিল মেসির।
পিএসজির মাঠে অবশ্য ভালো শুরু করে সাঁ এতিয়ে। ডেনিস বোয়াঙ্গার ১৬ মিনিটের গোল চমকে দেয় স্বাগতিক দলকে।
পিছিয়ে পড়ার পর নিজেদের গুছিয়ে নিতে বেশি সময় ব্যয় করেনি পিএসজি। লিওনেল মেসি খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজ কাঁধে তুলে নেন।
তার অ্যাসিস্ট থেকেই সমতা ফেরান এমবাপে। ৪২ মিনিটে গোল করার পর ১-১ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও মেসির বাড়ানো বল থেকে গোল করেন এমবাপে। আর এর মিনিট পাঁচেক পর দানিলোর গোলে জয় নিশ্চিত করে পিএসজি।
ম্যাচে জোড়া গোলের মাধ্যমে পিএসজির জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫৬ গোলের মালিক বনে গেছেন এমবাপে। একই সমান গোল আছে স্লাতান ইব্রাহিমোভিচের। ২০০ গোল করে সবার ওপরে আছেন এদিনসন কাভানি।
ম্যাচ শেষে এমবাপের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত পিএসজি ম্যানেজার মরিসিও পচেত্তিনো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তার পারফরম্যান্স বর্ণনা করা কঠিন। সে অবিশ্বাস্য। আমি তাকে নিয়ে গর্বিত।’
গোল না পেলেও মেসি পুরো নম্বর পেয়েছেন কোচের কাছ থেকে। পুরো দল প্রতিদিন উন্নতি করছে দাবি তার।
পচেত্তিনো বলেন, ‘গোল না পেলেও সে অসাধারণ ছিল। দল হিসেবে আমরা প্রতিদিনই আগের চেয়ে ভালো খেলছি।’