দেশের ক্রিকেটে যখন স্পট ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন চাউর তখন একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে বহু নাটকের রেশ কাটতে না কাটতেই অস্বাভাবিক আচরণ করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সিলেট সানরাইজার্স।
পেইস বোলার তাসকিন আহমেদের বেতন নিয়ে প্রশ্ন, চোট নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া, শেষ মুহূর্তে অধিনায়কত্বে পরিবর্তন ও বল টেম্পারিং কাণ্ড আরেকবার আঙ্গুল তুলছে সিলেটের গতি-বিধিকে।
ঘটনার শুরু তাসকিনের বেতন পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে। চট্টগ্রামে টুর্নামেন্ট চলাকালীন মালিকপক্ষের সঙ্গে বেতন পরিশোধ নিয়ে বিবাদে জড়ান তাসকিন। এর আগেও বেতন নিয়ে মালিকপক্ষকে ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞার ঘটনা রয়েছে। পরে ভুল বোঝাবুঝির কথা উল্লেখ করে পরিস্থিতিকে শান্ত করেন তাসকিন।
এরপর চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে এসে আরেক নাটকের জন্ম। হঠাৎ করে ম্যাচের আগমুহূর্তে সিলেটের অধিনায়ক পরিবর্তন করা হয়। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে সরিয়ে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয়া হয় রবি বোপারাকে। যেখানে সহ-অধিনায়কত্বের দায়িত্বে ছিলেন এনামুল হক বিজয়।
বোপারা অধিনায়ক হওয়ার ম্যাচে ঘটল আরেক অদ্ভূত কাণ্ড। ম্যাচ চলার সময় বল টেম্পারিং করতে গিয়ে ধরা খান বোপারা। নখ দিয়ে বলের স্বাভাবিকতা ব্যহত করছিলেন এ ইংলিশ ক্রিকেটার। পরে ক্যামেরায় তা ধরা পড়লে ওভারশেষে ৫ রান জরিমানা করা হয় সিলেটকে।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আরেক ঘটনা হাজির। সোমবার রাতে হঠাৎ করে সিলেটের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চোটের কারণে বিপিএল থেকে ছিটকে গেছেন পেইস বোলার তাসকিন আহমেদ।
এসব প্রশ্নের মুখে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটের ঘটনার ভেতরে যদি কিছু থাকে, সেটি আমাদের একটি ডিপার্টমেন্ট আকসু (দুর্নীতি দমন বিভাগ) দেখছে। আমরা আইসিসির সাহায্য নিচ্ছি। এখন আসলে ভেতরে কী হচ্ছে সেটি বলতে পারছি না। সত্য বলতে, এটা আমাদের জন্য বিশাল বড় চ্যালেঞ্জ।’
বহুকাণ্ডের পর সিলেট অবস্থান করছে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। সাত ম্যাচে এক জয় নিয়ে সিলেটের পয়েন্ট মাত্র ৩।