চট্টগ্রামের দেয়া রান পাহাড় টপকানো হলো না খুলনার। চ্যালেঞ্জার্সদের দেয়া ১৯০ রানের জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলতে সক্ষম হয় মুশফিকুর রহিমের দল। আর তারই সুবাদে ২৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম।
এই জয়ে টানা দুই ম্যাচেই জয়ের দেখা পেল সাগরিকার দলটি। আর প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পাওয়া খুলনা পেল প্রথম হারের স্বাদ।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুত উইকেট হারালেও খুলনার রানের চাকা সচল রাখেন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। পাওয়ার প্লেতে দলের স্কোর বোর্ডে উঠে ৪৫ রান।
কিন্তু সপ্তম ওভারে বড় ধাক্কা খায় খুলনা। রেজাউর রাজার বাউন্সার ব্যাটে বলে করতে না পারায় সরাসরি আঘাত হানে ফ্লেচারের কাঁধে। আর তাতেই মাঠ ছাড়তে হয় ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটারকে।
এদিকে আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রনি তালুকদারকে মাত্র সাত রানে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। চারে এসে শেখ মেহেদী হাসান ২৪ বলে খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। আর ফ্লেচারের কনকাশন সাব হয়ে আসা সিকান্দার রাজার ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
শেষ দিকে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে দলকে একাই টেনে নিয়ে যেতে থাকেন ইয়াসির আলী রাব্বি। কিন্তু ২৬ বলে ৪০ করা এই ব্যাটসম্যানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে থামান শরিফুল ইসলাম।
তার বিদায়ের পর আর কেউই তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেননি দলের স্বার্থে। শেষ পর্যন্ত ২৫ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিক অ্যান্ড কোংদের।
চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল, রাজা ও মিরাজ। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন বেনি হাওয়েল ও নাসুম আহমেদ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই খুলনার বোলারদের ওপর চড়াও হন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার কেনার লুইস ও উইল জ্যাকস। প্রথম ওভারে দুজন মিলে স্কোরশিটে যোগ করেন ২২ রান।
তবে মারকুটে এই জুটি ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ভাঙেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ৭ বলে ১৭ করা জ্যাকসকে ফিরিয়ে আনেন ব্রেক থ্রু। সঙ্গী বিদায় নিলেও লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন লুইস।
কিন্তু ১৪ বলে ২৫ করে তাকে শিকার হতে হয় রাব্বির। দলের স্কোর সে সময় তিন ওভার ৪ বলে ৫২ রান।
দুই ওপেনার থেকে সন্তোষজনক ইনিংস এলেও বড় ইনিংস খেলা সম্ভব হয়নি আফিফ হোসেনের পক্ষে। ১৩ বলে ১৫ করা এই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন নাভিন উল হক ও মেহেদী মিরাজ যৌথভাবে।
এরপর ৪৮ রানের জুটি গড়ে দলের অবস্থান শক্ত করেন সাব্বির রহমান ও মেহেদী মিরাজ। ২৩ বলে ৩০ করে নাভিন উল হকের শিকারে পরিণত হন মেহেদী। এক ওভার বাদে একই পথ ধরেন সাব্বির।
শেষদিকে বেনি হাওয়েলের ২০ বলে অপরাজিত ৩৪ ও নাঈম ইসলামের ৫ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে খুলনার সামনে ১৯০ রানের পাহাড় দাঁড় করায় চট্টগ্রাম।
চট্টলার হয়ে দুটি উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। একটি করে উইকেট নেন নাভিন উল হক ও ফরহাদ রেজা।