টানা দুই ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পাওয়া ফরচুন বরিশালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চলতি বিপিএলের প্রথম জয় পেল মিনিস্টার ঢাকা। বরিশালের দেয়া ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেট ও ১৫ বল অক্ষত রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ঢাকা।
বরিশালের দেয়া মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে আলজারি জোসেফ ও শফিকুল ইসলামের তোপে পড়তে হয় ঢাকার টপ অর্ডারকে। দলীয় ১০ রানে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় ঢাকার চার ব্যাটারকে।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে আগের দুই ম্যাচের পারফর্মার তামিম ইকবালকে রানের খাতা খোলার আগে ফেরত পাঠান শফিকুল। পরের ওভারের চতুর্থ বলে ৪ রান করা মোহাম্মদ নাঈম ফেরেন জোসেফের বলে উইকেটের পেছনে ধরা দিয়ে।
সে ওভারের শেষ বলে জহুরুল ইসলামকে বোল্ড করেন জোসেফ। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে শফিকুলের দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ শাহজাদ। আর তাতে ১০ রান তুলতেই ৪ উইকেট নেই ঢাকার।
দলের এই বিপর্যয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে ইনিংস মেরামত শুরু করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও শুভাগত হোম। দুই জনের ৬৯ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে ঢাকা।
দলীয় ৭৯ রানে শুভাগত বিদায় নিলেও উইকেট আগলে রানের গতি অব্যাহত রাখেন রিয়াদ। সঙ্গে ছিলেন আন্ড্রে রাসেলকে। বরিশালের বোলারদের পাত্তা না দিয়ে এই জুটি ঝড় তোলে ২২ গজে।
ঢাকা যখন জয় থেকে এক রান দূরে, তখন সাকিব আল হাসানের শিকার হয়ে ৪৭ রানে মাঠ ছাড়েন রিয়াদ। এই উইকেটের মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পঞ্চম বোলার হিসেবে ৪০০ উইকেটের মালিক বনে যান সাকিব।
বাকি কাজ শেষ করেন ইসুরু উদানা। ১৮ তম ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রথম জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। রাসেল অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ৩১ করে আর উদানা ১ বলে ১।
বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জোসেফ ও শফিকুল। একটি করে উইকেট যায় সাকিব ও ডোয়েইন ব্রাভোর ঝুলিতে।
এর আগে শেরে বাংলায় দিনের শুরুতে টসে জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ঢাকা। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও সেটি ধরে রাখতে পারেনি বরিশাল। দলীয় ২১ রানে নাজমুল শান্তর বিদায়ের পর হুট করেই ধস নামে বরিশাল শিবিরে।
স্কোরবোর্ডে দুই রান যোগ করতে সাজঘরে ফেরেন সৈকত আলি ও তৌহিদ হৃদয়। দলের বিপর্যয়ে ক্রিস গেইলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন দলপতি সাকিব আল হাসান।
এই দুই ব্যাটসম্যানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলা বরিশাল ফেরে লড়াইয়ে। দলীয় ৬০ রানে ১৯ বলে ২৩ করা সাকিব বিদায়ে নিলে ফের ভাটা পড়ে বরিশালের রানে। সাকিবের বিদায়ের পরপরই ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় নুরুল হাসান সোহানকে।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন গেইল। দলীয় ৯৪ রানে ইসুরু উদানার শিকার বনে মাঠ ছাড়ার আগে তার ক্যারিবীয় এই ব্যাটিং দানবের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস।
শেষদিকে ডোয়েইন ব্রাভোর ২৬ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল।
ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আন্ড্রে রাসেল ও ইসুরু উদানা। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন মাহমুদুল্লাহ, রুবেল হোসেন, শুভাগত হোম ও হাসান মুরাদ।