বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় ম্যাচে জয়ের আশা জাগিয়েও হতাশ হতে হলো সিলেট সানরাইজার্সকে। সিলেটের চোখ রাঙানি দেখেও ৮ বল ও দুই উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
সিলেটের দেয়া সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তারকা ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিকে। এরপর দলের স্কোরবোর্ডে ৫৫ রান তুলতে কুমিল্লা হারায় আরও চার উইকেট।
একে একে বিদায় নিতে হয় ক্যামেরন ডেলপোর্ট (১৬), মুমিনুল হক (১৫), ইমরুল কায়েস (২) ও আরিফুল হককে (৪)। এরপর কারিম জানাত কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি দলকে।
তাসকিনের শিকার হয়ে কারিম সাজঘরে ফেরার পর ফের ধস নামে কুমিল্লা শিবিরে। ৮৮ রানে আট উইকেট হারিয়ে শঙ্কা জাগায় পরাজয়ের।
তবে শেষ পর্যন্ত বিপদ হয়নি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও তানভীর ইসলামের কল্যাণে। হারতে বসা কুমিল্লাকে দুই উইকেটের জয় উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুই টেইল এন্ডার।
সিলেটের হয়ে নাজমুল হাসান নেন তিনটি উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজি ও মোসাদ্দেক হোসেন। আর একটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
এর আগে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কুমিল্লা দলপতি ইমরুল কায়েস। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে ইমরুল বাহিনী।
দলীয় ৭ রানে শুরু সিলেটের ব্যাটিং-ধস। দলের ব্যাটসম্যানদের ভেতর সর্বোচ্চ ২০ রান আসে কলিন ইনগ্রামের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ১৯ রান আসে কুমিল্লার বোলারদের কল্যাণে।
এই অতিরিক্ত ১৯ রানের ভেতর ছিল ১৭টি ওয়াইড, একটি লেগ বাই ও একটি নো বল।
ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে দলের হয়ে দুই অঙ্কের রান ছোঁয়া সম্ভব হয় রাভি বোপারা (১৭) ও সোহাগ গাজির (১২)। বাকিদের ফিরতে হয় এক অঙ্কের স্কোর নিয়েই।
নিয়মিত উইকেট পতন ও কুমিল্লার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৯৬ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট। আর কুমিল্লার সামনে দাঁড়ায় ৯৭ রানের সহজ লক্ষ্য।
কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম। আর একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন তানভির ইসলাম, করিম জানাত ও মুমিনুল হক।