জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে সিডন্সের দায়িত্ব নিতে আসার কথাটা ছিল বেশ আগের। বিসিবি জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া আফগানিস্তান সিরিজ হতে যাচ্ছে জাতীয় দলের সাবেক এই কোচের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট।
তবে কোন সময়টায় জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে তিনি বাংলাদেশে আসবেন, এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি সে সময়ে বোর্ডের পক্ষ থেকে।
অবশেষে ঢাকা আসার সময়কাল জানিয়ে দিলেন সিডন্স নিজে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় তিনি জানিয়েছেন আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসতে যাচ্ছেন। আর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে কাজ শুরু করতে চান অজি এই কোচ।
ভিডিওবার্তায় সিডন্স বলেন, ‘স্বাগত সবাইকে। মাত্রই আমার পরবর্তী কাজের ঠিকানা বাংলাদেশের ভিসা পেলাম। দুই বছর সেখানে কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। আমি তরুণ কয়েকজন খেলোয়াড়কে নিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।’
জাতীয় দলের পাশাপাশি জুনিয়র ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামেও কাজ করবেন সিডন্স। জাতীয় দলের তরুণদের নিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছেন তিনি।
তিনি যোগ করেন, ‘জুনিয়র ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামেও কাজ করব। তাদের প্রস্তুত করে আনন্দ পাই। ভিসা পেয়ে যাওয়ায় আগামী সপ্তাহে ফ্লাইট বুকিং দেব। আশা করি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আমি বাংলাদেশে কাজ করতে পারব। আগেও সেখানে কাজ করেছি। সেখানে কাজ করতে আমি ভালোবাসি।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বিশ্বকাপের পর ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সের সঙ্গে চুক্তি বাড়ায়নি বিসিবি। সে সময় থেকে জেমি সিডন্সকে অন্তর্ভুক্ত করার জোর চেষ্টা চালায় বোর্ড।
২০০৭ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন জেমি। জাতীয় দলের দায়িত্বে ছিলেন চার বছর।
২০১১ সালে চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। তার চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় বিসিবির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে চলে যেতে হয়েছিল তাকে।