কাগজ কলমের হিসেবে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরে শক্তিশালী দল গড়েছিল মিনিস্টার ঢাকা। পঞ্চ পাণ্ডবের তিন পাণ্ডব তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দলে ভেড়ানোর পাশাপাশি তারা টেনেছিল রুবেল হোসেন, নাঈম শেখ, এবাদত হোসেনের মত ক্রিকেটারদের।
কিন্তু এতো শক্তিশালী দল নিয়েও খুলনার বিপক্ষে পেরে উঠতে পারলো না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। মুশফিকুর রহিমের খুলনাকে ১৮৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া সম্ভব হয়নি ঢাকার। পাহাড়সম সেই লক্ষ্য ৫ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই টপকে যায় মুশফিক বাহিনী।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৮ রানে ওপেনার তানজিদ হাসানকে হারালেও আন্দ্রে ফ্লেচার ও রনি তালুকদারের ব্যাটে ভর করে লড়াইয়ে ফেরে খুলনা।
ফ্লেচারের ২৩ বলে ৪৫ ও রনির ৪২ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ভর করে জয়ের পথে একধাপ এগিয়ে যায় মুশফিকের দল। শেষদিকে থিসারা পেরেরার ১৮ বলে ৩৬ ও মাহেদি হাসানের ৫ বলে ১২ রানে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় খুলনা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ শেহজাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শক্ত ভিত গড়ে ঢাকা। উদ্বোধনী জুটি থেকেই আসে ৬৯ রান।
২৭ বলে ৪২ করা শেহজাদ রান-আউটের শিকার হলে ভাঙে সেই জুটি।
সঙ্গী বিদায় নিলেও উইকেট কামড়ে ধরে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৪১তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। খরচ করেন ৪১ বল। হাফ সেঞ্চুরি করে সেখানেই থেমে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। কামরুল রাব্বির বলে নাভিন উল হকের হাতে ধরা দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর শেরেবাংলায় ঝড় তোলেন ঢাকা দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রাব্বির বলে তানজিদ হাসানের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে খেলেন ২০ বলে ৩৯ রানের ইনিংস।
এই তিন ব্যাটসম্যানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৩ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা।
খুলনার হয়ে তিনটি উইকেট নেন কামরুল রাব্বি। আর একটি উইকেট যায় থিসারা পেরেরার ঝুলিতে।