বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরে তারকাবহুল দল সাজিয়েছে মিনিস্টার ঢাকা। দেশসেরা পাঁচ তারকার তিন জন মাশরাফি মোর্ত্তজা, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহর সমন্বয়ে সাজানো এই দলে আরও রয়েছেন রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলামের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার।
পাশাপাশি রয়েছেন নাঈম শেখ, এবাদত হোসেন, রিশাদ হোসেনের মতো তরুণ ক্রিকেটার। আছেন শুভাগত হোম, আরাফাত সানির মতো অভিজ্ঞরাও।কাগজ-কলমে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে হিসাবে বেশ শক্তিশালী ঢাকা। অভিজ্ঞ ও তরুণদের মিশেলে বানানো এই দলের নেতৃত্বের গুরুভার পড়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ওপর।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হিসেবে রিয়াদের পারফরম্যান্সটা চোখে পড়ার মতো। ৩৮টি ট-টোয়েন্টিতে রিয়াদের অধীনে বাংলাদেশ জয়ের মুখ দেখেছে ১৫টি ম্যাচে। বাকি ২৩টি ম্যাচে হারতে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।জয়ের হার প্রায় ৪০ শতাংশ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলের প্রথম অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিসের পর এটিই সবচেয়ে বেশি।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রিয়াদ। সে সঙ্গে সফল নেতা। আর সে কারণে তার ওপর অধিনায়কত্বের ভার দিয়েছে ঢাকা।
দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও উন্নতি এসেছে রিয়াদের। কাঁধে অধিনায়কের দায়িত্ব থাকার কারণে ভালো খেলতে পারছেন বলে মনে করেন তিনি।
বুধবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান তিনি।
রিয়াদ বলেন, ‘অধিনায়কের দায়িত্ব আমাকে ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করে। আমাদের দলটা তারকাবহুল। অনেক দায়িত্বও থাকবে। যখন খ্যাতি বেশি থাকে তখন তা প্রমাণেরও বিষয় থাকে। এ বিষয়গুলো আমাদের সবার মাথায় আছে। দলের ভালো করার সামর্থ্য আছে।’
ঢাকার লো ও স্লো উইকেটে শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট। এরপর খেলা যাবে সিলেট ও চট্টগ্রামে। সেখানের উইকেটের আচরণ থাকবে একেবারে ভিন্ন। এখনই সেটা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন মাহমুদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘উইকেটের ব্যাপারে আলাদা কিছু নেই। ম্যাচ খেলার সময় মাথায় রাখতে হবে উইকেট ভালো হবে। আগে থেকেই যদি চিন্তা করেন উইকেট স্লো থাকবে, আগে থেকেই তাহলে আপনি নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে ঢুকছেন। এটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটা আমি চাই না, এটা চিন্তাও করি না।’