২১ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসর। এই আসর মাঠে গড়ানোর আগে খেলোয়াড় ও দলগুলোর স্টাফদের করোনা টেস্ট শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রথম দিনের টেস্টে তিন-চার জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
নিউজবাংলাকে মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। বলেছেন, আরও ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফের করোনা পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে যাদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাদের মধ্যে খেলোয়াড় কত জন বা সাপোর্ট স্টাফ কত জন, তা জানানো হয়নি। তাদের নামও উল্লেখ করা হয়নি। তবে যারা করোনায় আক্রান্ত তাদের কোনো উপসর্গ নেই।
দেবাশীষ বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) তিন-চার জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আরও আসবে। মূল পরীক্ষা তো আজকে (মঙ্গলবার)। খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের থেকে তিন চার জনের পজিটিভ আসার খবর আমাদের কাছে আছে। কারা আক্রান্ত হয়েছেন সেটা আসলে বলাটা ঠিক হবে না।’
পজিটিভ আসা খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের আপাতত বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। এরপর ১০ দিন পর আরও একটি পরীক্ষা করিয়ে সেখানে নেগেটিভ এলেই তাদের মিলবে বিপিএলে অংশ নেয়ার সুযোগ।
দেবাশীষ বলেন, ‘যারা পজিটিভ এসেছেন তাদের কোনো উপসর্গ নেই। আমরা তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। বায়ো বাবলে তো তারা আর ঢুকতে পারবে না। আমরা আবার হয়তো সাতদিন থেকে ১০ দিন পর আরেকটি পরীক্ষা করিয়ে দেখব। নেগেটিভ এলে তারপর সে বায়ো বাবলে ঢুকতে পারবে।’
দেশে গত কিছু দিন ধরে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। তাই আগে থেকেই অনুমেয় ছিল, মাঠে গড়ানোর আগেই এই ভাইরাস হানা দিতে পারে বিপিএলে।
এ ছাড়া, বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে দেখা যায়, কোথাও কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। আয়োজকদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া বেশ কিছু ক্রিকেটারের ভেতর ছিল না মাস্ক পরার প্রবণতা। সামাজিক দূরত্ব ছিল উধাও।
বেশির ভাগ জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়েছে ছোট জায়গায়। সেখানে ছিল ক্রিকেটার ও সংবাদকর্মীদের গাদাগাদি। এমনকি ঢোকার সময় হাত স্যানিটাইজও করা হয়নি কোনো কোনো জায়গাতে। যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোরই এমন বেহাল দশা, সেখানে ক্রিকেটারদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর স্বাভাবিকই বটে।