স্বাধীনতা কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বৃহস্পতিবার ব্যাটে-বলে দারুণ সফল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে তার দুর্দান্ত অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সেও হার এড়াতে পারেনি রিয়াদের দল নর্থ জোন।
রিয়াদদের হারালেও ফাইনালের স্লট নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি ইমরুল-তামিমের ব্যাটে জয় পাওয়া ইস্ট জোন।
দুই জয় নিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সেন্ট্রাল ও সাউথ জোন।
তবে দিনের আলোচনায় ইমরুলের ব্যাটে হাসি ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অলরাউন্ডার পারফরম্যান্স।
আলোচনায় তামিমের নিজের ফর্মে ফেরা। দেশসেরা ওপেনারের নামের পাশে ৩৮ বলে ৩৫ রানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ইস্ট জোনের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
সতীর্থ তামিমের ব্যাটিং নিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘তাকে দেখে মনে হয় না সে ৪ (মূলত ৩ মাসের বেশি) মাস ব্যাটিং করেনি বা ম্যাচে নাই। আজকে তার ছন্দ খুব ভালো ছিল। শুরুটা ভালো ছিল। সে যেসব জায়গায় শটস খেলতে পছন্দ করে, সেসব জায়গায় সুন্দর করে টাইমিং করেছে।
‘যতক্ষণ খেলেছে খুবই ইতিবাচক ব্যাটিং করেছে। ড্রেসিংরুমে আমরা যে মানসিকতার কথা বলেছি, যে প্ল্যানের কথা বলেছি, তামিম ঠিক এটাই মাঠে প্রয়োগ করেছে।'
ম্যাচের আলোটা কেড়েছেন ইমরুল নিজে। ৭১ রান করে দলকে জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।
একই সঙ্গে দলের ভরাডুবির সময় ব্যাট হাতে ৬৬ রানের ফিফটির সঙ্গে বল হাতে তিন উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ। রান আউট করেন ইমরুলকে। সব মিলিয়ে বেশ কার্যকরী ছিলেন এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
রিয়াদ যেকোনো দলের জন্য ডিপেন্ডেবল মন্তব্য করে ইমরুল বলেন, ‘রিয়াদ ভাই সব সময়ই ডিপেন্ডেবল। ওদের যখন ৩ উইকেট পড়ে যায় তখন রিয়াদ ভাই না থাকলে তারা ১৫০ রানের ভেতর অলআউট হয়ে যেত। সে জায়গায় রিয়াদ ভাই পরিস্থিতি বুঝেছেন এবং দলকে টেনে নিয়েছেন। রিয়াদ ভাইয়ের মতো ব্যাটসম্যানের কাছে দল এমনটাই চায়।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বল হাতেও ঝলক দিতে দেখা যায় রিয়াদকে। তার বোলিং দিকটাকে বিপজ্জনক উল্লেখ করে ইমরুল বলেন, ‘আর বোলার রিয়াদ ভাই অনেক বিপজ্জনক বোলার। যেকোনো সময় উনি উইকেট বের করে দেন, যেকোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করে দেন। বিশেষ করে তামিম আর আমি তো ওনার বলেই বেশির ভাগ আউট হই। আমার জন্য একটু কঠিন (হাসি)।’
এদিকে আবু হায়দার রনির ঝড়ের পরেও টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচেও জিততে পারেনি সেন্ট্রাল জোন। তাদের ছুড়ে দেয়া ২২০ রানের টার্গেট পাঁচ উইকেট ও ৮ বল বাকি থাকতে জিতে নেয় সাউথ জোন। বল হাতে চার উইকেট নেন জয়ী দলের বোলার মোস্তাফিজুর রহমান ও তিন উইকেট নেন মাহেদী হাসান।
এ দুই দলই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ১৫ জানুয়ারির শিরোপার জন্য লড়বে সেন্ট্রাল ও সাউথ জোন।