বিশ্বকাপে টাইগারদের ভরাডুবির পর সমালোচনা শুরু হয় হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়ে। পাকিস্তান সিরিজে বাংলাদেশ ক্লিন সুইপ হলে ডমিঙ্গোকে সরানোর দাবি আরও জোরালো হয়।
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানকে ইস্যুটি নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তিনি জানান, কোচিং স্টাফদের তিন মাসের সময় দেয়া হয়েছে। তাদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
এরই মধ্যে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে সাকিব-তামিমদের পুরোনো কোচ জেমি সিডন্সের সঙ্গে কথা পাকা করে ফেলে বোর্ড। তবে হেড কোচ হিসেবে ডমিঙ্গোকে বদলানোর আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই।
সংবাদমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের প্রধান জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, ‘এখনও আমাদের কাছে কিন্তু বিকল্প হেড কোচ নেই। সিডন্সকে নিয়ে আসছি ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে। তিনি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এখানে আসবেন। কিন্তু হেড কোচ নেই। কদিন আগে সভাপতিও জানিয়েছেন। যেহেতু আমাদের বিকল্প নেই ও ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে, সেহেতু তাকে দিয়েই আমরা চালিয়ে নিচ্ছি।’
বাংলাদেশ দলের জন্য এই পুরো বছর ব্যস্ত সময় কাটবে। যে কারণে নতুন কোচ এসে দলের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সময় খুব একটা পাবেন না বলে মনে করছে বোর্ড।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু টানা খেলা, নিউজিল্যান্ড থেকে এসে বিপিএল। এরপর আফগানিস্তান আসবে। সেটা শেষ হলে দল যাবে সাউথ আফ্রিকায়। এ রকম ব্যস্ততা ও যেহেতু একটা চুক্তি করা হয়েছে তাই ডমিঙ্গোকে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে আমাদের অন্য চিন্তাও আছে পুরো কোচিং প্যানেল নিয়ে।’