সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনেই লিটন দাস ও মুমিনুল হকের ব্যাটে ভর করে ১২৫তম ওভারের প্রথম বলেই লিডে পা রাখে টাইগাররা।
লিড নিয়েই মুমিনুল ও লিটন এগুতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। সে স্বপ্ন পূরণ হলো না তাদের। ১২ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টেস্ট দলপতিকে। আর লিটনকে মাঠ ছাড়তে ১৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে।
২৪৪ বল খেলে ৮৮ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে সাজঘরে ফিরতে হয় এই ব্যাটসম্যানকে। দলীয় রান তখন ৫ উইকেটে ৩৬১।
আর ৯ রান জমা পড়তেই সাজঘরে ফেরেন লিটনও। ট্রেন্ট বোল্টের বলে কিপার টম ব্লানডেলের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। উইকেট ছাড়ার সময় তার নামের পাশে ছিল ১৭৭ বলে ৮৬ রান।
মুমিনুল-লিটনের বিদায়ের পর সপ্তম উইকেটে জুটি বেঁধেছেন ইয়াসির আলি ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে দুই উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান সেঞ্চুরির দিকে এগুতে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়। ২২৮ বল খেলে ৭৮ রান করে নেইল ওয়াগনারের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন এই ওপেনার।
ব্যক্তিগত ধারাবাহিক ব্যর্থতার বৃত্ত ছিঁড়তে পারেননি মুশফিকুর রহিম। অনেকক্ষণ উইকেটে থাকলেও ১২ রান করেই ট্রেন্ট বোল্টের শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। লিটন দাস ও মুমিনুল হকের ব্যাটে ভর করে দলীয় সংগ্রহ ৩০০ পার করে বাংলাদেশ।
পথিমধ্যে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের কোঠা পূরণ করেন দুজনই। পানি পান বিরতি থেকে ফিরে ১৪৭ বল খেলে হাফ সেঞ্চুরি করেন মুমিনুল, আর চা বিরতির আগে লিটন।
এই দুই জনের ব্যাটে ভর করেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে লিড পায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের করা ৩২৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে লিড নেয় সফরকারীরা।