পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে চলমান এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকির ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রথমবার এই আসরের ফাইনালে উঠল দক্ষিণ কোরিয়া। আর ২০১১ সালের পর প্রথমবার ফাইনালের আগে বিদায় নিল পাকিস্তান।
মঙ্গলবার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে ৬-৫ গোলে রোমাঞ্চকরভাবে পাকিস্তানকে হারায় দক্ষিণ কোরিয়া।
২০১৬ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ আসরে চতুর্থ স্থান লাভ করেছিল কোরিয়া। এতোদিন সেটিই ছিল দেশটির সেরা সাফল্য।
ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গিয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত হার মানতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।
ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে তৃতীয় মিনিটে অধিনায়ক ওমর ভুট্টার ফিল্ড গোলে দারুণ সূচনা পায় পাকিস্তান। ১১ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে গোল করে কোরিয়াকে সমতায় ফেরান জ্যাং জং ইয়োন। পরের মিনিটে আরেক পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিক দিয়ে সিনিয়র দলে ক্যারিয়ার শুরু করা এ ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ২২ মিনিটে ফিল্ড গোল করে পাকিস্তানকে সমতায় ফেরান জুনাইদ মঞ্জুর। তবে ২৫ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার গোলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে কোরিয়াকে ফের এগিয়ে নেন ৩৭ বছর বয়সি জ্যাং জং ইয়োন। ২০০৭ ও ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি ছিল প্রতিযোগিতার সপ্তম গোল।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে আফরাজের ফিল্ড গোলে ফের সমতায় ফেরে পাকিস্তান (৩-৩)। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইয়াং জি হুনের পেনাল্টি কর্নার গোলে ৪-৩ ব্যবধানের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় কোরিয়া।
তৃতীয় কোয়ার্টারে ৪৪ মিনিটে ফিল্ড গোল করে কোরিয়াকে ৫-৩ ব্যবধানে পৌঁছে দেন জিং জুন উ। চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারে ম্যাচের ৪৭ মিনিটে দুটি পেনাল্টি কর্নার পায় পাকিস্তান। প্রথম প্রচেষ্টা বিফলে গেলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোল করে ব্যবধানে কমিয়ে ৫-৪ করেন মুবাশার আলী।৫১ মিনিটে ফের মুবাশার আলীর পেনাল্টি কর্নার গোলে (৫-৫) সমতায় ফিরে পাকিস্তান।
তবে ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে প্রতিযোগিতায় নিজের অষ্টম গোল করে কোরিয়াকে ম্যাচে শেষ বারের মতো এগিয়ে দেন জ্যাং জং ইয়োন (৬-৫)। শেষ মুহূর্তের ওই গোল আর পরিশোধ করা হয়নি পাকিস্তানের। ফলে হার মেনে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয় তারা।