এশিয়ান হকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও হেরেছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে বাংলাদেশের জার্সিতে জোড়া গোল করেন আরশাদ হোসেন। দলের দুটি গোলই এসেছে তার স্টিক থেকে। তবে, গোলেও খুশি নন জাতীয় হকি দলের এ ফরোয়ার্ড।
ম্যাচ শেষে আরশাদ তার অসন্তোষের কথা জানালেন গণমাধ্যমকে। বললেন, ‘পাকিস্তানের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ভালো লাগছে। আরো ভালো লাগত যদি আমরা ম্যাচটি জিততে পারতাম।’
প্রথম কোয়ার্টারে প্রথম লিডটা পাওয়ার পরও ম্যাচটা পাকিস্তানের কাছে ৬-২ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের পর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের মধ্যে না থাকাই টুর্নামেন্টে পারফরমেন্সে বেহাল দশার কারণ বলে জানালেন আরশাদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা জিততে পারিনি এ কারণে যে, আমরা প্রায় ৪০ মাস আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে ছিলাম। ওইখানে আমাদের অনেক ঘাটতি আছে। তাছাড়া পাকিস্তান আমাদের চেয়ে অনেক ভালো দল। র্যাঙ্কিংয়েও আমাদের চেয়ে এগিয়ে। আশা করি ভবিষ্যতে আমরা ভালো কিছু করব।’
রোববার পাকিস্তান ম্যাচে কয়েকটি পেনাল্টি কর্নার থেকেও গোল করা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের। এখানে দলের দুর্বলতা খুঁজে পান আরশাদ।
জাতীয় দলের এ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘পিসি পেয়েও আমরা কাজে লাগাতে পারিনি? আগের ম্যাচেও তাই ছিল। পুশে আমাদের দুর্বলতা ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি। ওদের গোলরক্ষক, রক্ষণে থাকা খেলোয়াড়রা ভালো ছিল। অনেক ফাস্ট ওদের খেলোয়াড়। তাই মিসটেক হয়ে গেছে।’
টুর্নামেন্টজুড়ে ‘গিনিপিগে’ পরিণত হয় বাংলাদেশ। ভারতের কাছে আশরাফুল-আরশাদরা হেরেছে ৯-০ ব্যবধানে। পরে কোরিয়ার সঙ্গে ৩-২ ব্যবধানে লড়াকু হারের পর জাপানের কাছে ৫-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে পরাজয়ের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে। টানা চার ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে নিশ্চিত হয় বিদায়।
আন্তর্জাতিক আসরের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে আরও বেশি ম্যাচ চান আরশাদ।
তিনি বলেন, ‘ওরা অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে। আমরা সেই তুলনায় অনেক পিছিয়ে। বেশি করে ম্যাচ খেলতে পারলে আমরাও পাকিস্তানের মতো খেলতে পারব। আমাদের প্রচুর অনুশীলন ম্যাচ খেলতে হবে।’