দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হোঁচট দিয়ে এশিয়ান হকি চ্যাম্পিয়ন্সি ট্রফির আসর শুরু করা ভারতের সঙ্গে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। ভারতের গোলপোস্টে কোনো শটই নিতে পারেনি জিমি-আশরাফুলরা। উল্টো দলটির বিপক্ষে নিজেদের সবচেয়ে বড় হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বুধবার ভারতের কাছে ৯-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুর মিনিটে বাংলাদেশ বুঝে যায় কতটা পার্থক্য দুই দেশের হকিতে। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জেতা ভারতের ধারেকাছেও ছিল না বাংলাদেশ। মাঠে আধিপত্য বিরাজ করে খেলে ভারত। ভারতের গতি-স্কিল কোনটারই জবাব দিতে পারেনি ইমান গোবিনাথানের বাহিনী।
৭ পেনাল্টি কর্নারের বিনিময়ে ম্যাচের ১১ মিনিট পর্যন্ত ভারতকে থামিয়ে রাখতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। ম্যাচের ১২ মিনিটে আর রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের। জটলা থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন ভারতের ডিফেন্ডার দিলপ্রিত সিং।
দিলপ্রিতের মাপা শট থেকেই ২২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় ভারত। সুমিতের পুশ থেকে বাংলাদেশ গোলরক্ষক নিপ্পনের দুই পায়ের মাঝ দিয়ে দ্বিতীয় গোল তুলে নেন দিলপ্রিত।
আক্রমণ অব্যাহত রেখে ম্যাচের ২৯ মিনিটে নিজেদের নবম পেনাল্টি কর্নার থেকে তৃতীয় গোল ভারতের। গুরিন্দর সিংয়ের পুশ থেকে মানপ্রিত সিংয়ের স্টিক ঘুরে পাওয়া বল পোস্টে ঢোকান হারমানপ্রিত সিং।
দুই মিনিট পর আবারও গোল বাংলাদেশের জালে। এবারও পেনাল্টি থেকে। ভারত অধিনায়ক হার্দিক সিংয়ের পুশ থেকে সুমিতের স্টিক ঘুরে গোল করেন হারমানপ্রিত সিং।
এরপরে ১২ মিনিট পর্যন্ত ঠেকিয়ে রেখে ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্নারে পঞ্চম গোল হজম করে বাংলাদেশ। হার্দিক সিংয়ের পুশ থেকে গোল করেন হারমানপ্রিত সিং। পরের মিনিটে ফিল্ড গোলে ব্যবধান ৬-০ করেন দিলপ্রিত।
শেষ কোয়ার্টারে আরও তিনটি গোল হজম করে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ৫৪ মিনিটে সুমিতের গোলে ব্যবধান বাড়ায় ভারত। তার পরের মুহূর্তে পেনাল্টি কর্নার থেকে মানপ্রিতের গোলে ব্যবধান ৮-০ করে ফেলে সফরকারিরা।
তার মিনিট দুয়েক পরে এবার হারমানপ্রিতের পেনাল্টি কর্নারে ব্যবধান ৯-০ করে ফেলে ভারত।
এটাই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার। এর আগে ২০১৭ সালে এশিয়া কাপে একই ভেন্যুতে ভারতের কাছে ৭-০ ব্যবধানে হেরেছিল জিমিরা।
১৭ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ভারতকে ২-২ ব্যবধানে রুখে দেয় কোরিয়া।