ট্রেবল জয়ী দল থেকে গ্রুপ পর্বে নক আউট। ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে বার্সেলোনার পতনটা একেবারে চাক্ষুষ দেখা গেল বুধবার রাতের পরাজয়ে। ২০১৫ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা এবারে গ্রুপ পর্বের গণ্ডি পার হতে পারেনি।
সাবেক সভাপতি হোসেপ মারিয়া বার্তেমিউ আমলের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা এবং পরবর্তীতে কোচ রোনাল্ড কুমানের অব্যবস্থাপনাতে ডুবতে বসেছে একসময়ের সর্বজয়ী স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
লিওনেল মেসির মতো সর্বকালের সেরা ক্লাব ছেড়ে চলে গেছেন। ক্লাব ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে রেকর্ড গোলদাতা লুইস সুয়ারেসকে।
ক্লাব কিংবদন্তি চাভি এর্নান্দেসকে নিয়োগ দিয়েও ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করা যায়নি। ক্লাবের উন্নয়নের জন্য শূন্য কোষাগার পেয়েছেন চাভি। একই সঙ্গে পেয়েছেন উচ্চ বেতনে থাকা একঝাঁক অকার্যকর খেলোয়াড়কে।
বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা ও হেড কোচ চাভি মিলে ক্লাবকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষায় নতুন পরিকল্পনা করেছেন।
এর প্রথম ধাপে অকার্যকর খেলোয়াড়দের ছাঁটাই ও নতুন খেলোয়াড় কম খরচে দলে টানার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
জানুয়ারির দলবদলের উইন্ডোতে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফেরান তরেসকে দলে ভেড়াচ্ছে বার্সেলোনা সেটা একরকম নিশ্চিত।
একই সঙ্গে তারা ছেড়ে দিতে চায় উসমান ডেম্বলে, ফিলিপে কোতিনিয়ো, মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগান, ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং ও সার্জিনিয়ো ডেস্টকে।
টের স্টেগান ও ডি ইয়ং এ তালিকায় ছিলেন না। তবে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নের কাছে হেরে বিদায় নেয়ার পর তাদেরকে ক্লাব থেকে বিদায় করতে চান চাভি।
এমনটা দাবি করেছেন ইউরোপিয়ান ট্রান্সফার বিশেষজ্ঞ জেরার্ড রোমেরো।
সব মিলিয়ে জানুয়ারির দলবদলকে ক্লাবকে সঠিক পথে ফেরানোর শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছে কাতালান জায়ান্টরা।