ড্র করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন-এমন সমীকরণ সামনে রেখে মাঠে নামে শেখ রাসেল। আর শেখ জামালের হিসেবটা ছিল-জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। তবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই পুত্রের নামে প্রতিষ্ঠিত দুই ক্লাবের মুখোমুখি লড়াইয়ে কেউই জেতেনি।
ড্রয়ে শেষ হয়েছে ম্যাচটি। তাই এক পয়েন্ট করে পকেটে পুড়ে মাঠ ছাড়ে দু'দল। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ ‘বি’ এর খেলা শেষ হয়েছে।
পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে শেখ রাসেল। আর গ্রুপ রানার-আপ হয়ে শেষ আটে পা রেখেছে শেখ জামাল।
এর আগে দুই জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে আগেই নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করে শেখ রাসেল। আর এক জয় ও এক ড্রয়ে ঝুলে ছিল শেখ জামালের ভাগ্য।
তবে রোববার শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে উত্তর বারিধারা ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হওয়ায় নক-আউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যায় শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের।
দিনের শেষ ম্যাচে নিজেদের মধ্যে তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিল দুই দল। ম্যাচের ২৭ মিনিটে দৃষ্টিনন্দন গোলে লিড নেয় শেখ জামাল।
রাহবারের পাস থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্ত থেকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে একক নৈপুণ্যে বাঁ পায়ে বুলেট শটে বল জালে জড়িয়ে দেন শাহীন। গোলকিপার আশরাফুল রানা ডাইভ দিয়ে ফিস্ট করার চেষ্টা করলেও বলের গতির কাছে হার মানতে হয় তাকে।
দুর্দান্ত গোলে শেখ জামাল এগিয়ে গেলেও ম্যাচে ফিরতে সময় নেয়নি শেখ রাসেল।
ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় গোলকিপার রানার লম্বা থ্রো থেকে বল পেয়ে নিয়ন্ত্রণে রেখে একজনকে কাটিয়ে সামনে এগিয়ে দেন মাসাদো। তার বাড়ানো পাস ডি-বক্সে ঢুকার সময় গোলকিপার নাইম এগিয়ে এলে তাকে ভেলকি দিয়ে ফাঁকা জায়গা তৈরি করে গোল করেন ইসমাইল রুডি।
পরের অর্ধে বহু চেষ্টাতেও জয়সূচক গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ফলে ১-১ গোলে ম্যাচটি শেষ হলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় শেখ রাসেল। আর ৫ পয়েন্ট পেয়ে রানার-আপ হয় শেখ জামাল।
কোয়ার্টারে শেখ রাসেল মুখোমুখি হবে গ্রুপ ‘ডি’-এর রানার-আপ দলের সঙ্গে। আর গ্রুপ ‘ডি’-এর চ্যাম্পিয়ন দলের মুখোমুখি হবে শেখ জামাল। কোয়ার্টারের দুটি ম্যাচ আয়োজন হবে ১২ ডিসেম্বর।