চট্টগ্রাম টেস্টের শুরু থেকে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়তে হয় বাংলাদেশকে। যা বজায় ছিল দ্বিতীয় ইনিংসেও। একমাত্র লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম ছাড়া হাসেনি কারও ব্যাট। পুরো উল্টো চিত্র পাকিস্তান শিবিরে। উইকেট আগলে ব্যাটিং করে গেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা।
অপরদিকে সাগরিকার ফ্ল্যাট উইকেটে প্রথম ইনিংস থেকে তাণ্ডব চালান শাহিন-হাসান আলিরা। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের ১৬টি উইকেট গেছে পাকিস্তানি পেইসারদের ঝুলিতে।
বাংলাদেশের বোলারদের বলার মতো অর্জন তাইজুলের সাত উইকেট। পেইসাররা ছিলেন এই উইকেটে ছন্নছাড়া।
দলের পেইসার ও ব্যাটাররা এ উইকেটে ব্যর্থ হলেও উইকেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিনায়ক মুমিনুল হক। এমন উইকেট নিয়মিত চান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘এরকম উইকেট আমার পছন্দ। পুরোপুরি ফ্ল্যাট উইকেট ছিল। ব্যাটারদের জন্য সহায়ক ও পেইস বোলারদের জন্য কঠিন ছিল। তার মানে উইকেট ভালো ছিলো।’
মুমিনুলের দাবি অনুযায়ী উইকেটে ভাল করার কথা ছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। সেই সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার করে খেলার কথা ছিল রাহি-এদাবতদের।বাংলাদেশের দুই পেইসারের পারফরম্যান্স বিবেচনায় দেখা যায় দুই ইনিংসে এবাদত দুটি উইকেট ঝুলিতে পুরলেও শূন্যহাতে থাকতে হয়েছে রাহিকে।