চট্টগ্রাম টেস্টের পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসটা শুরুতে পাকিস্তানের পক্ষে থাকলেও একাই সেটি ছিনিয়ে বাংলাদেশের কোর্টে নিয়ে আসেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। স্পিন ঘূর্ণিতে তছনছ করে দেন পাকিস্তানের ব্যাটিং ইউনিটকে।
প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার পরও শেষ পর্যন্ত লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। আর ১১৬ রানের খরচায় ৭ উইকেট নিয়ে এর মূল নায়ক তাইজুল ইসলাম।
ফ্ল্যাট উইকেটে তার এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে পাকিস্তানি স্পিন গ্রেট সাকলায়েন মুশতাকের। টেস্টের পর ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অকপটে তাইজুলকে নিয়ে প্রশংসা করেন সাবেক এ অফস্পিনার।
সাকলায়েন বলেন, ‘তাইজুলকে অনেক ভালো মনে হয়েছে। যে জায়গায় আক্রমণ করেছে সেখানে ব্যাটারদের সুযোগ দেয়নি। আলগা বল তো দূরে থাক, সিঙ্গেলও দেয়নি। ওর নিয়ন্ত্রণটা সত্যিই দারুণ মনে হয়েছে।’
প্রশংসার পাশপাশি তাইজুলের বোলিংয়ে উন্নতির জন্য তাকে টোটকাও দিয়েছেন সাবেক এই গ্রেট। ধৈর্য রেখে বোলিংয়ের পাশাপাশি ডেলিভারিতে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ সাকলায়েনের।
পাকিস্তানি এই গ্রেট বলেন, ‘তার আরেকটু ভ্যারিয়েশন আনতে হবে। সেটা তাকে বাড়তি শক্তি দেবে। বাড়তি ওভারস্পিন তাকে অনেক সহায়তা করতে পারে। তবে তার টেম্পারমেন্ট ও ধৈর্য আমার খুব ভালো লেগেছে। নিয়ন্ত্রণটা তাইজুলের মূল শক্তি।’
তাইজুলকে নিয়ে উচ্ছ্বাস ছিল বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের কণ্ঠেও। ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা প্রাপ্তি হিসেবে তাইজুলের স্পেলকে ধরছেন অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি বলব যে ম্যাচে আমাদের ২-৩টা প্রাপ্তির মধ্যে তাইজুলেরটাই সেরা। এমন ফ্ল্যাট পিচে ৭ উইকেট নেয়া এত সহজ না। ও যে কাজটা করেছে সেটা দুর্দান্ত। গত এক-দেড় বছরে নিজের উন্নতি করতে সে যে কাজ করেছে তা অবশ্যই অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার।’
সাগরিকা টেস্টে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও আট উইকেটে হেরেছে ডোমিঙ্গো শিষ্যরা। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি মাঠে গড়াবে ৪ ডিসেম্বর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।