ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর লিটন মিরাজের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ছিল বাংলাদেশ। এই দুই ব্যাটসম্যানের হাত ধরে ১৫০ রানের লিড পার করে স্বাগতিক দল।
মিরাজকে নিয়ে বেশিদূর যেতে পারেননি লিটন। সাজিদ খানের স্পিন ফাঁদে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ১১ রানে মাঠ ছাড়েন মিরাজ। আর তাতে প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
দিনের শুরুতে মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে বাংলাদেশের পঞ্চম উইকেটের। বিপর্যয় এড়াতে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান লিটন কুমার দাস।সঙ্গে নেন ইয়াসির রাব্বিকে। দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে।
বিপত্তি ঘটান শাহিন আফ্রিদি। দিনের একাদশ ওভারের শেষ বলে তার দেয়া বাউন্সার সরাসরি হেলমেটে আঘাত হানে ইয়াসির রাব্বির। আর তাতে মাঠ ছাড়তে হয় রাব্বিকে। যদিও তার আগে দুজন মিলে গড়েন ৪৭ রানের জুটি।
রাব্বির কনকাশন সাব হিসেবে এই টেস্টের বাকি সময়ে খেলবেন নুরুল হাসান সোহান।
চট্টগ্রাম টেস্টে লিড নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে দিনের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের মধ্য দিয়ে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে টাইগারদের।
সাগরিকায় তৃতীয় দিন দলের বিপর্যয়ে শক্ত হাতে হাল ধরে রেখেছিলেন মুশফিক ও ইয়াসির আলি রাব্বি, কিন্তু চতুর্থ দিনের শুরুতেই হাসান আলি ভাঙলেন সেই জুটি।
দুর্দান্ত এক ইন সুইঙ্গারে মুশফিকের স্টাম্প ভেঙে ১৬ রানেই তাকে সাজঘরে ফেরান হাসান।
এর আগে ৪৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পেইস তোপের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে মাঠ ছাড়তে হয় টাইগার টপ অর্ডারকে।
৪ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে দিন শেষ করে স্বাগতিক দল।