সাগরিকা টেস্টের তৃতীয় দিনের নায়ক কে? প্রশ্নটা করা হয়েছিল ম্যাচ শেষে বেশ কয়েকজন দর্শককে। সকলের মুখেই তাইজুল ইসলামের প্রশংসা।
হবেই না কেন? তাইজুল একাই তার স্পিনে নাজেহাল করে ছেড়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। ২৮৬ রানে অল আউট পাকিস্তানের সাত ব্যাটসম্যান কুপোকাত বলে।
লম্বা সময় পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে। নেমেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। তৃতীয় দিনের নায়ক বাঁহাতি এই স্পিনার দিন শেষে জানালেন তার সফলতার রহস্য।মাঝে কিছুদিন নতুন অ্যাকশনে বল করতে দেখা গেলেও এই ম্যাচে তিনি ছিলেন পুরনো ছন্দে। এ কারণে সফল হয়েছেন বলে মনে করছেন তাইজুল।
তিনি বলেন, ‘পুরনো একশনেই আমি সফল। ভালো কিছু করার জন্য চেষ্টা করেছি। অ্যাকশন বদলানো যাবে না বা বদলে বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি তা নয়। সোহেল ভাইয়ের (স্পিন কোচ) সঙ্গে কাজ করে উপকার পেয়েছি। যখন কামব্যাক করতে পেরেছি সোহেল ভাইয়ের হেল্প করেছে। কারণ উনি আমার বোলিং খুব ভালো জানেন।’
ম্যাচের তৃতীয় দিন জহুর আহমেদ চৌধুরীর উইকেট দেখিয়েছে দুই চেহারা। পাকিস্তানের ইনিংসে স্পিনাররা সাফল্য পেলেও বাংলাদেশের সময় বদলে যায় পাশার দান। পিচ হয়ে ওঠে পেইস বান্ধব।
আর সে কারণেই দলীয় স্কোরবোর্ডে ২৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের। দ্রুত টপ অর্ডাররা মাঠ ছাড়ায় হতাশ হচ্ছেন না তাইজুল।
তিনি বলেন, ‘জিনিসটা হতাশার মতো নিলে হবে না। আমিও নিচ্ছি না। ক্রিকেটে অনেক সময় অনেক রকম হতে পারে। কেউ ইচ্ছে করে আউট হতে চয় না। প্রথম ইনিংসেও এমনটা হয়েছে। আবার ফিরে এসেছি। আশা করছি আবারও ম্যাচে ফিরব।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। চার উইকেটের খরচায় ৩৯ রান তুলে দিন শেষ করেছে টাইগাররা। ফলে বাবর আজমদের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে ৮৩ রানের লিড পেয়েছে মুমিনুল বাহিনী।