সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেয়ার ভার চলে আসে তাইজুল ইসলামের কাঁধে। অভিজ্ঞ এ স্পিনার দায়িত্ব পেয়ে হতাশ করেননি। একাই ধসিয়ে দিলেন পাকিস্তানকে।
পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আসাদুল্লাহ শফিক ম্যাচের দ্বিতীয় দিন এক দুর্ভেদ্য দেয়াল গড়েন। কিন্তু তৃতীয় দিনের শুরুতে সেই দেয়ালে ফাটল ধরান তাইজুল।
তৃতীয় দিনের শুরুটা করেন আবদুল্লাহ শফিকের উইকেট দিয়ে। এরপর প্রথম সেশনে একে একে বাগিয়ে নেন আজহার আলি ও ফাওয়াদ আলমের উইকেট।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর আরও ভয়ানক হয়ে ওঠেন এই স্পিনার।
তার স্পিন বিষে মাঠ ছাড়তে হয় আবিদ আলি, হাসান আলি, নুমান আলি ও ফাহিম আশরাফকে। আর দুর্দান্ত এ বোলিংয়ে ৭ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে অল আউট করে ফেলে বাংলাদেশ।
স্বাগতিকদের পক্ষে ৪৪.৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৯ মেইডেনসহ ১১৬ রান খরচায় ৭ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো বাংলাদেশি বোলারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
এই নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে নবমবারের মতো পাঁচ বা ততোধিক উইকেট শিকার করেছেন ডানহাতি এই স্পিনার।
১১৬ রানে ৭ উইকেট তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৯ রানে আট উইকেট তার ক্যারিয়ার সেরা ফিগার।
আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬ রানে ৭ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামে সেরা বোলিং ফিগার সাকিব আল হাসানের।