পাকিস্তানকে তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে অলআউট করে দিয়েছে বাংলাদেশ। দুই সেশনে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা।
বিনা উইকেটে দিন শুরু করে প্রথম সেশনে পাকিস্তানের চার উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। সেই ধারা অব্যাহত রেখে বিরতি থেকে ফিরে এবাদতের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। মাঠ ছাড়ার আগে দলীয় স্কোর বোর্ডে যোগ করেন পাঁচ রান।
পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় সেশনে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন তাইজুল ইসলাম। টানা উইকেট তুলে সফরকারী লাইনআপ ধসিয়ে দেন তিনি।আবিদ আলি ও হাসান আলিকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে বিপদে ফেলেছেন টাইগার স্পিনার। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে আবিদকে ফিরিয়ে পতন ঘটান পাকিস্তানের ষষ্ঠ উইকেটের।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে উইকেট আগলে রেখেছিলেন আবিদ আলি। কিন্তু ৩৮৮ মিনিট ধরে ব্যাটিং করা এই ব্যাটসম্যানকেও তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে মাঠ ছাড়তে হয় ১৩৩ রানে।
এরপর হাসান আলি আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করলেও বেশি দূর যেতে পারেননি। তাইজুলকে ছক্কা ও চার হাঁকানোর পরের বলে স্টাম্পড হয়ে যান তিনি।
এ নিয়ে ক্যারিয়ারের নবম বার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট শিকার করলেন তাইজুল।
টেইলএন্ডার সাজিদ আলির স্টাম্প উড়িয়ে পাকিস্তানের আট নম্বর উইকেটে পতন ঘটান এবাদত। পাঁচ রানে বোল্ড হন সাজিদ।
টেইলকে ধুয়েমুছে দিতে বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে গুটিয়ে ৪৪ রানের লিড নেয় স্বাগতিক দল।
তাইজুল ১১৬ রানে শিকার করেন সাত উইকেট। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।
এর আগে, সকালের সেশনে মোট চারটি উইকেট তুলে নেন দুই টাইগার স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি মিরাজ। দিনের প্রথম ওভারে তাইজুলের জোড়া আঘাতে শুরু।
আব্দুল্লাহ শফিক ও আজহার আলিকে পরপর দুই বলে ফেরান এ অভিজ্ঞ স্পিনার।
এরপর অধিনায়ক বাবর আজমকে ফেরান মিরাজ। আর সেশনের শেষ উইকেট যায় তাইজুলের নামে।
ফাওয়াদ আলমকে ৮ রানে আউট করেন তিনি।