প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৩০ রানের জবাবে শক্ত অবস্থানে থেকে দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে কোন উইকেট না হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৪৫ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে ১৮৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে সফরকারীরা।
৯৩ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন আবিদ আলি। তার সঙ্গী আবদুল্লাহ শফিক খেলছেন ৫২ রান নিয়ে।
দুর্দান্তভাবে প্রথম দিন শেষ করার পর দ্বিতীয় দিনে এসে পাকিস্তানি বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েবাংলাদেশের ইনিংস। দিনের শুরুতে লিটন দাসের ফেরার মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্বাগতিকদের আসা যাওয়ার মিছিল।সঙ্গীর বিদায়ে কিছুটা কমে যায় মুশফিকের ব্যাটের ধার। তবে উইকেটে ছিলেন অবিচল। প্রথম দিনে নির্ভরতার সঙ্গে খেলতে থাকা মুশফিক এদিন নেমেছিলেন অধরা সেঞ্চুরি তুলে নিতে। ফাহিম আশরাফ ৯১ রানে থামিয়ে দেন তাকে।
অভিষেক হওয়া ইয়াসির রাব্বি উইকেটে আসেন মুশফিকের সঙ্গী হিসেবে। মুশফিকের সঙ্গে বেশিক্ষণ ছিলেন না রাব্বি। চার রান করে হাসান আলির বলে বোল্ড হন তিনি।
অল্পতে ফিরতে হয় তাইজুলকেও।
এরপর টেস্ট মেজাজ হারিয়ে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন মেহেদি মিরাজ। সঙ্গে নেন আবু জায়েদ রাহিকে। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ।
এ জুটিকে থামিয়ে ফের বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন হাসান আলি। এক লো বাউন্সারে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আট রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় রাহিকে।
পরের বলে রানের খাতা খোলার আগে ফেরেন এবাদত। যার ফলে বাংলাদেশের রানের চাকা থেমে যায় ৩৩০ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে পাঁচটি উইকেট পান হাসান আলি। দুটি করে উইকেট পান শাহিন আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ। আর একটি উইকেট যায় সাজিদ খানের ঝুলিতে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই পাকিস্তানি ওপেনার আবিদ আলি ও আবদুল্লাহ শফিকের সামনে পাত্তা পাননি বাংলাদেশের বোলাররা।
ধৈর্য্যের সঙ্গে উইকেটে টিকে থেকে অর্ধশতক হাকান আবিদ। এরপর ব্যাট ছোটান সেঞ্চুরির দিকে। সেঞ্চুরিটা পেয়ে যেতেন যদি না আলো স্বল্পতার কারণে ৬ ওভার আগে খেলা বন্ধ না হত।
সঙ্গী শফিকও কম যাননি। তিনিও তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ভর করে বিনা উইকেটে ১৪৫ রানের পুঁজি নিয়ে দিন শেষ করে পাকিস্তান।
বাংলাদেশি বোলারদের পরিসংখ্যানে বলার মতো কিছু ছিল না। অধিনায়ক মুমিনুল হকসহ বল করেছেন পাঁচজন বোলার। কেউই উইকেটের দেখা পাননি।