প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৩০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিন চা বিরতির আগ পর্যন্ত বিনা উইকেটে তাদের সংগ্রহ ৭৯ রান।
২৫৩ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে গুটিয়ে যায় ৩৩০ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আবিদ আলির দারুণ এক অর্ধশতক ও আবদুল্লাহ শফিকের ২৭ রানের সাহায্যে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে পাকিস্তান।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে স্বাগতিক দল হারায় ছয়টি উইকেট। ৩৩০ রানে বাংলাদেশকে অলআউট করে দেয় সফরকারী দল।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ব্যক্তিগত ১১৪ রানে ফিরে যান লিটন দাস। সঙ্গীর বিদায়ে কিছুটা কমে যায় মুশফিকের ব্যাটের ধার। তবে উইকেটে ছিলেন অবিচল।
প্রথম দিনে নির্ভরতার সঙ্গে খেলতে থাকা মুশফিক এদিন নেমেছিলেন অধরা সেঞ্চুরি তুলে নিতে। ফাহিম আশরাফ ৯১ রানে থামিয়ে দেন তাকে।
অভিষেক হওয়া ইয়াসির রাব্বি উইকেটে আসেন মুশফিকের সঙ্গী হিসেবে। মুশফিকের সঙ্গে বেশিক্ষণ ছিলেন না রাব্বি। চার রান করে হাসান আলির বলে বোল্ড হন তিনি।
অল্পতে ফিরতে হয় তাইজুলকেও।
এরপর টেস্ট মেজাজ হারিয়ে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন মেহেদি মিরাজ। সঙ্গে নেন আবু জায়েদ রাহিকে। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ।
এ জুটিকে থামিয়ে ফের বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন হাসান আলি। এক লো বাউন্সারে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আট রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় রাহিকে।
পরের বলে রানের খাতা খোলার আগে ফেরেন এবাদত। যার ফলে বাংলাদেশের রানের চাকা থেমে যায় ৩৩০ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে পাঁচটি উইকেট পান হাসান আলি। দুটি করে উইকেট পান শাহিন আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ। আর একটি উইকেট যায় সাজিদ খানের ঝুলিতে।