সকালের সেশনটা দেখে বোঝা যায়নি দিনশেষে স্বস্তির হাসি বাংলাদেশের মুখে থাকবে। দিনের প্রথম ১৭ ওভারে নেই চার উইকেট। যার মধ্যে একজন অভিজ্ঞ মুমিনুল হক।
তবে এরপর পুরো দিনের খেলা পাল্টে দেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। অভিজ্ঞ এ দুই ব্যাটসম্যান সারাদিন অবিচ্ছিন্ন থেকে বাংলাদেশকে দারুণ অবস্থানে নিয়ে যান।
প্রথম দিন শেষে চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫৩ রান।
দিনের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টাতেই হারিয়ে বসে চার টপ অর্ডারকে।
এরপর খেই হারিয়ে ফেলা তরীকে সামলানোর দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সেশনের শেষে নেমে পুরো দ্বিতীয় সেশন ব্যাট করেন লিটন ও মুশফিক। দুই জনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।
৯৫ বলে ক্যারিয়ারের দশম হাফ সেঞ্চুরি করেন লিটন। সবশেষ ১০ ইনিংসে এটি তার পঞ্চম ফিফটি। হাফ সেঞ্চুরির পথে একটি ছক্কা ও ছয়টি চার হাঁকান তিনি।
৬৭ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে সাজিদ খান তার ক্যাচ ছেড়ে দেন। এরপর পেছনে ফিরে তাকাননি লিটন। তৃতীয় সেশনেও সাবলীল থাকেন লিটন-মুশফিক। সেঞ্চুরির দেখা আগে পান লিটন।
১৯৯ বলে ১০টি চার ও এক ছক্কায় ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান তিনি।
থেমে থাকননি মুশফিকও। টেনে নিয়ে থাকেন দলকে। সেই সঙ্গে ২০০ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবার পাশাপাশি পাকিস্তানের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন দুইজন।
দুইজনে মিলে বাংলাদেশের ইনিংসটা হয়তো আরও বড় হতে পারতেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই আলোক স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা শেষ করে দেয় আম্পায়ার।
ওভারের হিসেবে পাঁচ ওভার আগে শেষ হয় দিনের খেলা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে সাগরিকার প্রাণবন্ত উইকেটে পাকিস্তানের শুরুর দিককার পেইস আক্রমণ সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। ভুল শট সিলেকশনের খেসারত দিতে হয়েছে সবাইকে।
প্রথম ঘণ্টাতে স্বাগতিক দল হারায় দুই ওপেনার ও অধিনায়ককে। বাজে শটে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্তও। আর বিরতির আগে বাংলাদেশ হারিয়েছে অভিজ্ঞ মুমিনুল হককে।
ইনিংসের প্রথম ওভারে একবার জীবন পান সাদমান ইসলাম। ব্যাটের কানায় বল লেগে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়ার পর পাকিস্তান দলের কেউ আবেদন না করায় সে যাত্রা রক্ষা পান তিনি।
অন্য প্রান্তে শাহিন আফ্রিদির শর্ট বলের সামনে নড়বড়ে হয়ে পড়েন সাইফ হাসান। পঞ্চম ওভারে তার বলেই আউট হন সাইফ।
টেস্ট ম্যাচের মেজাজে খেলেননি তিনি। ১১৬ স্ট্রাইক নিয়ে ১২ বলে ১৪ রান করেন।
সাইফের ওপেনিং পার্টনার সাদমানের ব্যাট থেকেও আসে ১৪ রান। অষ্টম ওভারে হাসান আলির বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি।
বাংলাদেশ বড় ধাক্কাটা খায় ১৬তম ওভারে। সাজিদ খানের বলে ৬ রান করে আউট হন মুমিনুল হক।
অধিনায়কের পতনের পরও শট খেলা কমাননি নাজমুল শান্ত। যার খেসারত দেন ১৭তম ওভারে। ফাহিম আশরাফের প্রথম বলে কাট করতে গিয়ে কাভার পয়েটে ধরা পড়েন তিনি। শান্তর ব্যাট থেকেও আসে ১৪।