হকিতে জমে উঠেছে লিগের শিরোপার লড়াই। ড্র বা জিতলেই চ্যাম্পিয়ন এমন যখন হিসেব তখন বড় ধাক্কা খেল মেরিনার ইয়াংস ক্লাব। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলকে রোমাঞ্চকরভাবে হারিয়ে শিরোপা জেতার লড়াইয়ে টিকে রইল ঢাকা আবাহনী।
মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার লিগের সুপার ফাইভের ম্যাচে মেরিনার্সকে ৪-৩ গোলে হারায় আবাহনী।
আগের ম্যাচে মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে দারুণ ভাবে ফেরে আবাহনী। বৃহস্পতিবার আকাশী-নীল জার্সিধারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় মেরিনার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি। এ যাত্রায়ও সফল দেশের শীর্ষস্থানীয় দলটি।
আবাহনীকে বিপক্ষে ড্র করলে এক ম্যাচ হাতে রেখে প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের শিরোপা ঘরে তুলতো মেরিনার্স। সোহানুর রহমান সোহানের হ্যাটট্রিকে সে পথেই ছিল তারা। তবে শেষ দুই মিনিটের নাটকে অপেক্ষা বাড়ল তাদের।
ম্যাচের মাঝে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে যথারীতি অসন্তোষ। খেলা বন্ধও থাকল আধা ঘণ্টারও বেশি সময়। মাঠের লড়াইও হলো জমজমাট।
সপ্তম মিনিটে বৃত্তের বাইরে থেকে বিয়র্ন কেলারমানের হিট সরাসরি ঠিকানা খুঁজে পেলে গোল দেন রেফারি। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে কেলারমানের শট বৃত্তের ভেতর থাকা রোমান সরকারের স্টিক ছুঁয়ে গেছে কিনা।
রিভিউয়ে দেখা যায়, রোমানের স্টিক স্পর্শ করেনি বল। বাতিল হয় গোল। এই সিদ্ধান্তের জেরে খেলা বন্ধ থাকে আধ ঘণ্টারও বেশি সময়। পুনরায় খেলা শুরুর পরপরই পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে আবাহনীকে এগিয়ে নেন কেলারমান।
সমতায় ফিরতে খুব একটা সময় নেয়নি মেরিনার্স। ম্যাচের ১৫ মিনিটের পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে তারা। মিলন হোসেনের পুশ সুখজিৎ সিং স্টপ করার পর সোহানের হিট ঠিকানা খুঁজে নেয়। তিন মিনিট পর পেনাল্টি কর্নারে থেকে সরাসরি গোল না পেলেও আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়ান সোহান।
ম্যাচের ২৫তম মিনিটে মরিস আলফনসোর গোলে সমতায় ফিরে আবাহনী। একটু পর প্রতিপক্ষের স্বস্তি কেড়ে নেয় মেরিনার্স। পেনাল্টি কর্নার থেকে লক্ষ্যভেদ করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সোহানুর।
চতুর্থ কোয়ার্টারের শেষ দিকে মেরিনার্সকে চাপে রাখে আবাহনী। পেনাল্টি কর্নার থেকে লক্ষ্যভেদ করেন খোরশেদুর রহমান। শেষ বাঁশি বাজার মাত্র দুই সেকেন্ড আগে পিসি পায় আবাহনী। তা থেকেই লক্ষ্যভেদ করেন খোরশেদ।
দুর্দান্ত এক জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে আকাশী-নীল দলের সমর্থকরা।
নিজেদের শেষ ম্যাচে শনিবার মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হবে মেরিনার্স। ওই ম্যাচে ড্র করলে শিরোপা জিতবে তারা। হারলেও সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে প্লে-অফের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জিততে হবে।