পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন দুই নতুন আনকোরা খেলোয়াড় রেজাউর রহমান রাজা ও মাহমুদুল হাসান জয়। দুই তরুণ ক্রিকেটার টেস্টের সর্বোচ্চ পর্যায়কে নিচ্ছেন নিজেদের আরও অভিজ্ঞ করে তোলার মঞ্চ হিসেবে।সিলেটের পেইসার রেজা গতবছর শুরু করেন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে। ১০ ম্যাচে এখন পর্যন্ত তার শিকার ৩৩ উইকেট। বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় ২২ বছরের রেজা জানান ক্রিকেটে তার শুরুটা টেপ টেনিস দিয়ে।তিনি বলেন, ‘এলাকায় টেপ টেনিসে খেলার পর একটা ক্রিকেট বলের টুর্নামেন্ট হয়েছিল। আমি সেখানে খেলতে যাই। তখন বড় ভাইরা বোলিং দেখে বললেন, বোলিং ভালো হচ্ছে, চাইলে স্টেডিয়ামে গিয়ে ক্রিকেট প্র্যাকটিস করতে পার। অনুশীলন শুরু করলাম। অনুশীলনে যেয়ে মনে হলো আমি পারব। এভাবেই আমার ক্রিকেটে আসা।’বয়স ও অভিজ্ঞতায় তরুণ হলেও টেস্ট ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ নিতে মানসিকভাবে প্রস্তুত আছেন বলে জানান রাজা। নিজের বোলিংয়ের শক্তির দিকগুলো সম্বন্ধেও পরিষ্কার ধারণা আছে তার।বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। টেস্ট খেলা আমি উপভোগ করি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেছি। চারদিনের খেলায় ডে বাই ডে কয়েকটা স্পেলে বোলিং করতে পারি।‘এক জায়গায় টানা বল করতে ও মুভমেন্ট করাতে পারি। দিনের শুরুতে যে গতিতে বোলিং করি, দিনের শেষে তার চেয়ে জোরে বল করতে পারি। এগুলোই আমার স্ট্রেংথ।’আরেক নতুন মুখ মাহমুদুল হাসান জয় প্রথম নজরে আসেন যুব বিশ্বকাপের সেমিতে সেঞ্চুরি করে। এরপর ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট ও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ভালো ব্যাট করে নজর কাড়েন নির্বাচকদের। চলতি জাতীয় লিগে ৬ ম্যাচের ১০ ইনিংসে মাহমুদুল রান করেছেন ৪৬০।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ দল। ছবি: বিসিবি
রেজার মতো প্রথমবার টেস্ট দলে ডাক পেয়ে উচ্ছ্বসিত জয়ও।তিনি বলেন, ‘আসলে এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো না। সবারই স্বপ্ন থাকে টেস্ট স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার। আমি অনেক খুশি।’টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে চান ২১ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান। নিজের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের ফর্ম আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে তাকে।বলেন, ‘জাতীয় লিগে বেশ কয়েকটি ইনিংস ভালো খেলেছি। আত্মবিশ্বাস এখন ভালো আছে। তার আগে এইচপি ও এ টিমের প্রস্তুতি ম্যাচেও আমি ভালো ইনিংস খেলেছি। তাই আমি প্রস্তুত আছি, সামনের ম্যাচগুলোতে ভালো খেলার জন্য। সুযোগ পেলে আমি আমার স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করব।’চট্টগ্রামের বড় তারকা তামিম ইকবাল চোটের কারণে নেই। তাই চট্টগ্রামের আরেক ছেলে জয়ের ওপর চাপ বেশি থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিজ শহরে বাড়তি চাপে নেই তিনি।জয় যোগ করেন, ‘চট্টগ্রাম বলতে আসলে আলাদা কিছু মনে হচ্ছে না। সিনিয়র ভাইরা সবাই আছেন। একসঙ্গে শেষ কয়েকটা সিরিজ খেলেছি। সবাই অনেক সাহায্য করেন আমাকে।’