ম্যাচের রেজাল্ট বলছে ৪-২ ব্যবধানে আবাহনীর কাছে হেরেছে মোহামেডান। তবে ডমিনেটিং খেলেছে সাদা-কালো শিবির।
১৪টি পেনাল্টি কর্নার আর একটি পেনাল্টি স্ট্রোকের সুযোগ পেয়েও আবাহনীকে হারাতে পারেনি মতিঝিলের ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান।
অপরদিকে সুযোগ যা এসেছে তার অধিকাংশই কাজে লাগাতে সফল হয়েছে আবাহনী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের সুপার ফাইভের ম্যাচে ৪-২ গোলে জিতে গেছে আবাহনী।
এ জয়ে প্রথম লেগের ডার্বিতে ৪-০ ব্যবধানের হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে তারা।
ম্যাচের শুরুটা গোল দিয়ে করেছে আবাহনী। প্রথম পেনাল্টি কর্নারটাই কাজে লাগিয়েছে শিতুল-খোরশেদরা। মোহাম্মদ রিজওয়ানের পুশ ডাচ খেলোয়াড় ইয়ান ভাগস স্টপ করার পর দারুণ ড্রাগ ফ্লিকে বল লক্ষ্যে পাঠান খোরশেদুর রহমান।
পরপর আরও দুটি পেনাল্টি কর্নারের সুযোগ নষ্ট করার পর সমতায় ফেরে মোহামেডান। সুনীল সোমারপিতের পুশে সারোয়ার হোসেন স্টপ করার পর পেইয়াতের শট সঠিক নিশানা খুঁজে পায়।
সমতায় দুলতে থাকা ম্যাচটিতে আবারও লিড নেয় আবাহনী। এবার ম্যাচের ২৮ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেয়া কেলারমানের হিটে ওঁৎ পেতে থাকা আরশাদ হোসেনের স্টিক ছুঁয়ে বল ঠিকানা খুঁজে পেলে স্কোর বাড়ে আবাহনীর।
পিছিয়ে পড়া মোহামেডান যখন সমতায় ফিরতে মরিয়া তখন আরেকটি ধাক্কা দেয় আবাহনী। এবার ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে পাওয়া দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নার থেকে খোরশেদের গোলে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলে আকাশি-নীলরা।
তার ঠিক পাঁচ মিনিট পর পেনাল্টি স্ট্রোক পেয়ে যায় মোহামেডান। কিন্তু লিড নেয়ার সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া হয় তাদের। পেইয়েতের শট দারুণ ডাইভে রুখে দিয়ে আবাহনীকে রক্ষা করেন গোলকিপার আবু সাইদ নিপ্পন।
থেমে থাকেনি মোহামেডানের আক্রমণ। তৃতীয় ও চতুর্থ কোয়ার্টারে বলা চলে আবাহনীর ওপর দাপট নিয়ে খেলে মোহামেডান।
তৃতীয় কোয়ার্টারের শেষ দিকে পিসি থেকে পেইয়াতের লক্ষ্যভেদে জমে ওঠে ম্যাচ। ৩-২ ব্যবধান ম্যাচ তখন মোড় নেয় কঠিন উত্তেজনায়।
কিন্তু ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ৫৮ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে কোলামানের গোলে ম্যাচটা আচমকাই ৪-২ করে ফেলে আবাহনী। এখানেই মূলত শেষ হয়ে যায় মোহামেডানের ফেরার আশা।
শেষ পর্যন্ত জয়ের উল্লাসে মেতে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
১৪ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। এক ম্যাচ কম খেলা মোহামেডান ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। ২ ম্যাচ কম খেলে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মেরিনার্স।