পাকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে বছরের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ সহ আট ম্যাচে হেরেছে মাহমুদুল্লাহর দল।
ম্যাচগুলোর অধিকাংশেই ডেথ ওভারে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে টাইগাররা।
যার দারুণ উদাহরণ বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের সিরিজের প্রথম ম্যাচ। জয়ের জন্য পাকিস্তানের শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩২ রান। অক্ষত চারটি উইকেট।
সে সময় জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করেন লাখো টাইগার ক্রিকেটভক্ত। কারণ ওই তিন ওভারের একটি ছিল মুস্তাফিজুর রহমানের।
বল হাতে নেন ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট এ পেইসার। কিন্তু ১৮তম ওভারে তিনি দেন ১৫ রান।
পরের ওভারে শরীফুল ইসলামের ছয় বলে ১৫ রান নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খান। চোখের নিমিষে ব্যবধান কমে দাঁড়ায় এক ওভারে দুই রান।
শেষ ওভারে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে বাইরে পাঠান শাদাব খান। ৪ উইকেটের জয় বাগিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
একই পরিস্থিতি না হলেও সিরিজের শেষ ম্যাচেও নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। একেবারে শেষ ওভারে ম্যাচে সমতা নিয়ে আসে স্বাগতিক দল।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে পাকিস্তানকে পরাজিত করার ইঙ্গিত দিচ্ছিল বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল আট রান। অক্ষত ছিল আটটি উইকেট। বল হাতে এলেন রিয়াদ।
এসে দ্বিতীয় বলে ফেরান সারফ্রাজ আহমেদকে। পরের বলে তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শান্তর হাতে ধরা দেন বিপজ্জনক হায়দার আলি।
পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩ বলে ৮ রান। আরও একবার জয়ের আশায় স্বপ্ন দেখা শুরু করেন লাল-সবুজের ভক্তরা।
চতুর্থ বলে লাইন লেংথের খেই হারিয়ে ফেলেন রিয়াদ। ফলে বোলারের মাথার উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ২ বলে ২ রান।
পঞ্চম বলে ফের আঘাত হানেন রিয়াদ। ইয়াসির রাব্বির তালুবন্দি করে ফেরান ইফতেখারকে। আরও একবার চাপে পড়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশ দেখতে শুরু করে অধরা সেই জয়।
নতুন আসা নাওয়াজ ডেড বলে বোল্ড হন। পরের বলে হাত ঘুরিয়েও বল রিলিজ করেননি মাহমুদুল্লাহ। স্নায়ুচাপ ছিল স্বাগতিকদের ডাগ আউটে সবার চোখে মুখে।
শেষ বলে আবার খেই হারান রিয়াদ। অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার ভুগছিলেন স্নায়ুচাপে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে চার মেরে রোমাঞ্চকর এক জয় বাগিয়ে নেয় পাকিস্তান। সেই সঙ্গে ক্লিন সুইপ করে বাংলাদেশকে।
এই দুই ম্যাচে স্লগ ওভারে বোলাররা পারফরম্যান্স দেখাতে সক্ষম হতেন তাহলে হয়তো সিরিজের ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো।
প্রতি ম্যাচে স্লগ ওভারের চাপ নিতে ব্যর্থ বাংলাদেশের বোলাররা। টানা ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে এ সমস্যার সমাধান দ্রুতই খুঁজতে চাইবেন টিম ম্যানেজমেন্ট