টানা পরাজয়ে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা যখন দিশেহারা, সে সময় কোম্যানকে সরিয়ে কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় চাভি হার্নান্দেজকে। আর চাভির হাত ধরেই হারের বৃত্ত ভেঙে জয়ের ধারায় ফিরল বার্সা।
লা লিগায় টানা চার ম্যাচ পর শনিবার রাতে জয়ের দেখা পায় বার্সা। এস্পানিওলের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে কাতালানরা।
ঘরের মাঠে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে খেলছিল বার্সা। চাভি শিষ্যরা ম্যাচের ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের জালে শট নেয় ১৬টি। এর ভেতর ৬টি শট ছিল লক্ষ্যে।
অপরদিকে ১২ শটের ভেতর মাত্র দুইটি লক্ষ্যে নিতে পারে সফরকারীরা।
এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে অভিষেক ঘটে বার্সার বি দলে খেলা ফরোয়ার্ড ইলিয়াসের। ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার জয় দিয়ে রাঙ্গান নিজের অভিষেক।
ম্যাচের শুরু থেকেই ঘন ঘন আক্রমণে সফরকারীদের শিবিরে কাঁপন ধরান কাতালানরা।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের লম্বা করা বাড়ানো বলে মেমফিসের ভলি ঠেকিয়ে বার্সার প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করেন এস্পানিওল গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেস।
১৪ মিনিটে জর্ডি আলবার নিচু ক্রস ডি-বক্সে ভালো পজিশনে পেয়ে উড়িয়ে মারেন অভিষিক্ত ইলিয়াস। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়তে হয় তাকে।
২৫ মিনিটে গোলরক্ষক বারাবর শট মারেন মেমফিস। কিন্তু সেটি ঠেকিয়ে দিয়ে বিপর্যয় এড়ান লোপেস।
তিন মিনিট পরই ডি-বক্সের ভেতর থেকে সের্হিও বুসকেটসের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান এই গোলরক্ষক।
বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে কাছ থেকে নেয়া প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের শটে জেরার্ড পিকের পায়ে লেগে যাওয়া বল এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
গোলের দেখা না পেয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে লিড নেয় স্বাগতিকরা।
ডি বক্সে মেমসিস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন খোদ মেমসিসই।
এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। শেষতক ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় কাতালানদের।
১৩ ম্যাচে পাঁচ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে উঠেছে বার্সেলোনা। দুই ম্যাচ কম খেলা এস্পানিওল ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম স্থানে আছে।