ঘোষণাটি পূর্বনির্ধারিতই ছিল। বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেই আরব আমিরাত থেকে সরাসরি বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসবে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে তৃতীয় শিরোপার স্বাদ পেলে সূচিতে পরিবর্তন আসত।
বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেটে পরাজিত হওয়ার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ মিশন। তাই এক দিনের বিরতি দিয়ে শনিবার বাংলাদেশে আসছেন রিজওয়ানরা।
সবকিছু ঠিক থাকলে শনিবার সকাল ৮টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বহনকারী বিমান।
ঢাকায় এসেই তারা থাকবেন জৈব সুরক্ষা বলয়ে। হোটেল সোনারগাঁয়ে বাধ্যতামূলক দুই দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে পাকিস্তান দলের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের।
এই দলের সঙ্গে শনিবার অবশ্য বাংলাদেশে আসছেন না অধিনায়ক বাবর আজম ও শোয়েব মালিক। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের থেকে তারা চার দিনের ছুটি নিয়েছেন। সেই ছুটি শেষে ১৬ নভেম্বর তারা বাংলাদেশে আসবেন।
কোয়ারেন্টিন শেষ করে ১৬, ১৭ ও ১৮ নভেম্বর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে রিজওয়ান-বাবর আজমরা।
এরপর ১৯ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ২০ ও ২২ নভেম্বর হবে বাকি দুটি ম্যাচ।
এরপর ২৩ নভেম্বর প্রথম টেস্ট খেলতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দেবে দুই দল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২৪ ও ২৫ তারিখ অনুশীলনের পর ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট।
এরপর ১ ডিসেম্বর দুই দলই ফিরে আসবে ঢাকায়। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি। আর ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাড়বে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
সিরিজকে সামনে রেখে শনিবার থেকে অনুশীলনে নামার কথা রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।