পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে তাদের ব্যাটিং ইউনিটটা। প্রতিপক্ষের বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে প্রায় প্রতি ম্যাচেই।
সবচেয়ে বেশি যেটা ভুগিয়েছে সেটা হল পাওয়ার হিটারের শূন্যতা। পাওয়ার প্লেতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যাটারের উপস্থিতি ছিল না দলে। যার ফলে প্রতি ম্যাচেই পাওয়ার প্লেতে ধুঁকতে হয়েছে সৌম্য-লিটনদের।
বিশ্বকাপের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দল ঢাকা ফেরার পরের দিনই টিম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনকে। পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই তিনি শুরু করে দিয়েছেন দলকে ঝালাইয়ের কাজ।
আসন্ন এই সিরিজকে সামনে ৭ তরুণ ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, পারভেজ ইমন, ইয়াসির আলী রাব্বি, তৌহিদ হৃদয়, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তানভির ইসলামকে নিয়ে ইতোমধ্যেই শেরে বাংলায় অনুশীলন শুরু করেছেন খালেদ মাহমুদ।
যেই পাওয়ার হিটারের অভাব জাতীয় দলে, সেটির চাহিদা মেটানোই মূল লক্ষ্য হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তিনি।
আর সে লক্ষ্যেই ডাক পেয়ে নিজেকে পাওয়ার হিটার হিসেবে প্রস্তুত করতে চান ইয়াসির আলি রাব্বি। তিন ফরম্যাটে দলকে প্রতিনিধিত্ব করে দলের প্রয়োজনে নিজের সর্বোস্ব উজাড় করে দিতে প্রস্তুত তিনি।
সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে পাওয়ার হিটিং না ... সবসময় চাই তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে। তবে আমার দলের লক্ষ্যটা যদি এমন হয় আমাকে পাওয়ার হিটিং করতে হবে তাহলে আমি নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করবো এইতো।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ক্রিকেট বদলাচ্ছে, ক্রিকেট আধুনিক হচ্ছে। তো এই জিনিসগুলো যদি আমরা এখন না জানি ... এ কারণেই আসলে ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে আমরা পিছিয়ে থাকি। তো এই জিনিসগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এসব আমাদের ১৯ থেকে ২০ এ নিয়ে যায়।’
একই সঙ্গে রাব্বি মনে করেন কৌশলের পাশাপাশি পাওয়ার হিটার হতে সাহসের প্রয়োজন। সাহস বাড়াতে পারলেই পাওয়ার হিটিং চলে আসবে বলেও মনে করেন এই ব্যাটার।
রাব্বি বলেন, ‘সাহসটা তো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাহস না থাকলে আপনি কখনো ছয় মারতে পারবেন না। আমার কাছে মনে হয় এ জিনিসটা একটা ব্যাটসম্যানের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সাহস থাকতে হবে ছয় মারার জন্য।’
১৯ নভেম্বর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও দুই ম্যাচের টেস্ট ম্যাচের সিরিজ শুরু হবে। ১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর মাঠে গড়াবে টি-টয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এরপর ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি। ৪ ডিসেম্বর শেরে বাংলায় গড়াবে সিরিজের শেষ টেস্টটি।
সিরিজকে সামনে রেখে আগামী ১২ নভেম্বর থেকে অনুশীলনে নামবে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এর আগে ১০ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশের প্রাথমিক দল।