বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিং ও অনলাইন বেটিং বা জুয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের পর সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
ব্যারিস্টার সুমন জানান, ক্রীড়া সচিব ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কর্মকর্তাদের স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। বিষয়টি তুলে আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী সুমন।
তিনি বলেন, ‘আপনি ফুটবলের নাম দিয়ে ১ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করবেন, জুয়া খেলবেন, মানি লন্ডারিং করবেন; এদের বিরুদ্ধে যদি ক্রিমিনাল কোনো ব্যবস্থা না নেন, বা কেউ যদি মামলা না করে, তাহলে সে মনে করবে, আমি ফুটবল না খেললাম, ব্যান থাকলাম, কিন্তু এক হাজার কোটি টাকা তো বানিয়ে ফেলতে পারলাম।’
সুমন বলেন, ‘এসব অপরাধীকে যাতে ফৌজদারি মামলার আওতায় আনা হয়, সে কারণে আমি হাইকোর্টে আবেদন করি। আদালত শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দিয়েছেন।’
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে দুই বছরের জন্য প্রথম বিভাগে নামিয়ে দেয়া হয়। সে সঙ্গে ক্লাবটির চারজন কর্মকর্তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করে ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
তার আগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের অনৈতিক কার্যকলাপের প্রমাণ পেয়েছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও।
এএফসির নির্দেশনা পেয়েই বাফুফে ক্লাবটির বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করে। বাফুফের পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে নানা তথ্য-উপাত্ত এবং ক্লাবের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মোবাইল কথোপকথনের ফরেনসিক প্রতিবেদনে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পায়।