শেষ মুহূর্তে আশা জাগিয়ে জয় পায়নি বাংলাদেশের যুবারা। শ্রীলঙ্কার যুবাদের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এক উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বিশ্বকাপজয়ী যুবাদের। এর ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক দল।
ডাম্বুলায় টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মন্থর গতির ইনিংসের শুরুতে ইফতেখার হোসেনকে হারায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে ফিরে যান নওরোজ নাবিল।
উইকেটে টিকে থেকে রানের চাকা সচল রাখা মাহফিজুল ইসলামকে ফিরতে হয় ৩৪ রান করে।
এরপর আইচ মোল্লার ৬০ বলে ৩৭, অধিনায়ক মেহেরবের ৭১ বলে ৫২ ও আরিফুলের ৬৭ বলে ৫০ রানের ইনিংসে দুই শ অতিক্রম করে টাইগাররা।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে লঙ্কানদের সামনে ২২৫ রানের পুঁজি দাঁড় করায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই রায়ান ফার্নান্দোকে মাহফিজুলের ক্যাচ বানিয়ে মাঠছাড়া করেন মুশফিক হাসান। আরেক ওপেনার হারিন্দু জয়াসেকারাকেও দাঁড়াতে দেননি বাঁহাতি স্পিনার আহসান হাবিব।
এরপর ঝড় তোলার ইঙ্গিত দেয়া শেভন ড্যানিয়েলকে ৩২ রানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আরিফুল। লাথিরু দেওয়াতাগেকে বোল্ড করে লঙ্কানদের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেন আহসান হাবিব।
সে সময় স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে রান চার উইকেটে ৬৪। এমন অবস্থায় পাওয়ান পাথিরাজার সঙ্গে নিয়ে রাভিন ডি সিলভা গড়েন ৫৫ রানের জুটি। সামাল দেন দলকে।
একই সঙ্গে ৫৯ বলে রাভিন তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। ফিফটি করে প্রবল বিক্রমে ব্যাট চালাতে থাকেন শতকের দিকে।
তার সেঞ্চুরির দিকে যেতে থাকা থামান মহিউদ্দিন তারেক। পরের ওভারে মুশফিকের দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়েন ওয়ানুজা শাহান। এক ওভার বাদেই ফেরান ভিনুজা রানপল।সে সময় জয়ের জন্য ৭ বলে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ৪ রান; অক্ষত ছিল ১টি মাত্র উইকেট।
জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকা বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ হয় সাসানকা নির্মলের হাতে। তিন বল হাতে রেখেই জয়সূচক রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।আর সেই সুবাদে বাংলাদেশ পায় আরও একটি হারের স্বাদ।