একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ওমান এ-দলের বিপক্ষে ৬০ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ একাদশ। টাইগারদের দেয়া ২০৮ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটের খরচায় ১৪৭ রানে থেমে গেছে স্বাগতিকদের রানের চাকা।
পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওমানের শিবিরে আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। দলীয় স্কোরে রান যোগ করার আগেই এই স্পিনারের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ওপেনার অক্ষয় প্যাটেলকে।
পরের ওভারেই লিটন দাসের তালুবন্দি হয়ে ফিরে যান আরেক ওপেনার প্রুথিবকুমার মাচ্ছি।
প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন শোয়াইব খান। কিন্তু তার সঙ্গী খালিদ কাইল ও অধিনায়ক আমির কালিমকে দাঁড়াতে দেননি শরিফুল ও আফিফ।
যার সুবাদে ৫২ রান তুলতেই চার উইকেট নেই স্বাগতিকদের। কিন্তু তখনও উইকেট কামরে ধরে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন শোয়াইব খান।
বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা এই ব্যাটার ৪৩ করে থামেন মুশফিক-সোহানের যৌথ প্রচেষ্টায়।
এরপর আর টাইগার বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি ওমানের কোনো ব্যাটার। শেষদিকে ১৪ বলে ৩১ রানে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় স্বাগতিক দল।
শেষ পর্যন্ত ১৪৭ রানে থামতে হয় তাদের।
বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম তিনটি ও সাইফুদ্দিন দুটি উইকেট নেন।
এর আগে ওমানের আল আমিরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় স্বাগতিকরা।ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরু করে টাইগাররা।
লিটন-নাঈমের শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং ইঙ্গিত দিচ্ছিল বড় সংগ্রহের, যা আরও পোক্ত হয় দুজনের শতরানের জুটিতে।
দলীয় ১০২ রানে ৩৩ বলে ৫৩ করে লিটন মাঠ ছাড়লে বিপর্যয় শুরু হয় টাইগার শিবিরে। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দুই অঙ্কের রানে পৌঁছানোর আগে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার।
আসা-যাওয়ার মিছিলে শামিল হন মুশফিকুর রহিম এবং আফিফ হোসেনও। তিন ব্যাটার মিলে মাঠ ছাড়ার আগে দলের স্কোরশিটে যোগ করে যান ১৪ রান। এর ভেতর সৌম্যের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান এবং আফিফের ৬। মুশফিককে ফিরতে হয় খালি হাতে।
উইকেটের একপ্রান্তে মাঠ ছাড়ার মিছিল চলতে থাকলেও অন্যপ্রান্ত আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে যান নাঈম। কিন্তু ৫৩ বলে ৬৩ খেলা নাঈমকে মাঠ ছাড়তে হয় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে।
বাকি কাজটা সারেন সোহান ও শামিম মিলে। ওমানের বোলারদের ওপর চালানো শুরু করেন তাণ্ডব। আর যার সুবাদে ২০৭ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
সোহান অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ৪৯ করে আর শামিম ১০ বলে ১৯ রান করেন। শেষ পর্যন্ত চার উইকেটে ২০৭ রান করে বাংলাদেশ একাদশ।