২০১২ তে শুরু। এরপর একে একে ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে ফের চার বছরের মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
তার সভাপতিত্বের মেয়াদে ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাট টেস্ট বাদে বাকি দুই ফরম্যাটে উন্নতি এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের। জাতীয় দল পেয়েছে শক্তিশালী পাইপলাইন। সেই সঙ্গে এসেছে ক্রিকেটের অবকাঠামোর চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন।
গত মাসেই পাপন জানান ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করতে ইতোমধ্যেই বিড শুরু করেছে বাংলাদেশ। আইসিসির নতুন নিয়মানুযায়ী বিশ্বকাপ আয়োজক হতে হলে সেই দেশে কমপক্ষে ছয়টি ভেন্যু থাকতে হবে। আর সেখারণেই বিশ্বকাপে ভেন্যু হিসেবে দেখানো হয়েছে প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ৮ বছরের ক্রিকেট চক্রে পুরুষদের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের সূচি চূড়ান্ত করেছে। এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্লট রয়েছে দুটি- ২০২৭ ও ২০৩১ সালে।
এছাড়াও এই ক্রিকেট সূচিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে চারটি; ২০২৪, ২০২৬, ২০২৮ ও ২০৩০ সালে। একইসঙ্গে মোট ৮ দল নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও আয়োজন করা হবে ২০২৫, ২০২৯ সালে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক হতে যতগুলো স্টেডিয়াম প্রয়োজন বাংলাদেশের সেটি নেই। আর সে কারণেই নতুন পর্ষদের মেয়াদের শুরুতে নতুন স্টেডিয়াম বানানোর কাজে হাত দিতে চায় বিসিবি। পূর্বাচলে ৩৭.৪৯ একর জমির ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক এই স্টেডিয়াম।
স্টেডিয়াম নির্মাণকে নতুন মেয়াদে নিজের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে রাখছেন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। বৃহস্পতিবার নতুন মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনের সংবাদসম্মেলনে এমনটাই জানান তিনি।
পাপন বলেন, ‘আমি একটু আগেই পরিচালকদের সঙ্গে ছোট আলোচনা সভা করেছি। সেখানে তাদের জানিয়েছি, এবার আমাদের যে কাজ করতে হবে তার মধ্যে অবশ্যই শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম তৈরি শেষ করতে হবে। এটা সবার আগে করতে হবে। বিশ্বকাপ আয়োজন করতে আইসিসিতে যে প্রস্তাব দিয়েছি, সেখানে এটার কথা উল্লেখ রয়েছে।’
২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপেরও যৌথ আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। সেবার ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশেও বেশ কিছু ম্যাচ হয়েছিল। এছাড়া ২০১৪ সালে এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ।