চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। বুধবার বোর্ড পরিচালকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ভোট পান তিনি।
২০১২ সালে সরকারের মনোনীত হয়ে প্রথমবারের মতো বোর্ড সভাপতি পদে বসেন নাজমুল হাসান। এরপর ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে বোর্ড নির্বাচনে বিপুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে জয় লাভ করেন তিনি। সবশেষ গত বুধবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পরিচালক পদে জেতেন তিনি।
নতুন পরিচালনা পর্ষদের ২২ জন পরিচালকের ভোটে চতুর্থবারের মতো সভাপতি পদে বসতে যাচ্ছেন নাজমুল হাসান। এসেই ঘোষণা দিয়েছেন টাইগারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করার।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান সাত নম্বরে। বাংলাদেশের ঠিক ওপরে অবস্থান করছে পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড।
নতুন মেয়াদে বোর্ড সভাপতি পদে বসেই ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে পাঁচে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চতুর্থবারের মতো দায়িত্ব পাওয়া এই সভাপতি। টপকে যেতে চান পাকিস্তান এবং সাউথ আফ্রিকাকে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদসম্মেলনে এমনটাই জানান পাপন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান তিন ফরম্যাটের মধ্যে শুধু ওডিআইতে ভালো। এখনও ওই রকম দল হইনি যে বলব খুব ভালো। আগের চেয়ে নিশ্চিতভাবে ভালো। সাত নম্বরে এসেছি। দুইটি বিশ্বকাপজয়ী দলের ওপরে আছি। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরবর্তীতে টার্গেট অবশ্যই পাঁচে যাওয়া। সে জন্য কাজ করতে হবে। শক্তিশালী অনেক প্রতিপক্ষ আছে তাদের ওপরে আমাদের উঠতে হবে।’
এখনই র্যাঙ্কিংয়ে লম্বা লাফ দিতে নারাজ বিসিবি বস। দলের বর্তমান পরিস্থিতিতে পাঁচের বেশি যাওয়া খুব একটা সহজ হবে না বলেও স্বীকার করেন তিনি। বেশ কিছু ঘাটতি রয়েছে বলে এখন পাঁচের ওপর যাওয়া কঠিন হবে অভিমত তার।
তিনি বলেন, ‘এখন যে পরিস্থিতি সেখান থেকে সাত থেকে পাঁচে উঠাটাই হয়তো সম্ভব। এর পরের লেভেলে যেতে হলে যে পরিমাণ কাজ করতে হবে এখন পর্যন্ত সেই পরিমাণ কাজ করিনি। সেই সুযোগ-সুবিধা ডেভেলপ হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্য দেশও উন্নতি করেছে। ওদের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে গেলে আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে। যা করেছি, এখন পর্যন্ত যে সফলতা পেয়েছি এটা ধরে রাখার জন্য অনেক কিছু করতে হবে। এটাই বাস্তবতা।’
এবারের নির্বাচনে ২৩ পদের বিপরীতে ৩২ জন কাউন্সিলর মনোনয়ন পত্র তুলেছিলেন। ২৫ জনের কমিটির অন্য দুইজন আসবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত হয়ে। মনোনয়ন নেওয়াদের মধ্যে চারজন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। যদিও তিনজন নির্ধারিত সময়ে না দেওয়ায় তা আমলে নেয়নি নির্বাচন কমিশন।
ক্যাটাগরি-১ এর পাঁচ বিভাগ থেকে সাতজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় বাকি আসনগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১২৭ ভোটারের মধ্যে ১১৪ জনের ভোটে ২৩ জন নির্বাচিত হন।