টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো ক্রিকেট খেলার প্রত্যাশা নিয়ে ওমানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছে জাতীয় ক্রিকেট দল।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের লড়াই শুরু করবে টাইগাররা।
বিশ্বকাপে সম্প্রতি টুর্নামেন্ট জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন দলের অধিনায়ক। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে রোববার রিয়াদ বলেন, ‘আমি তো ইতোমধ্যে ব্যক্তিগতভাবে সব বলে দিয়েছি। আর কি বলব। আমরা সবাই আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থী।
‘ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় জাতি হিসেবে আমাদের জন্য ভালো একটি সুযোগ এই বিশ্বকাপে। ইনশাআল্লাহ আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ধারাবাহিক থাকতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বশেষ কয়েকটা সিরিজে যেরকম ক্রিকেট খেলেছি ওই রকম আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা যদি খেলতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের জন্য ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।'
সোমবার ওমানে পৌঁছানোর পর এক দিন রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন সবাই। ৫ অক্টোবর থেকে অনুশীলন শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট দলের। টুর্নামেন্টে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী সেরাটা দিতে চান রিয়াদ।
দলের অধিনায়কের কথায়, ‘আমার মনে হয় যে প্রত্যাশা তো থাকবেই। সবমিলিয়ে দলের প্রত্যাশা, খেলোয়াড়দের, দেশবাসীর। কিন্তু এই প্রত্যাশাগুলো আমরা তখনই পূরণ করতে পারব যখন আমরা নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারব। সেটার জন্য গ্রুপ পর্বের যে ম্যাচগুলো (বাছাই পর্ব) আছে, ধাপে ধাপে আমাদের আগাতে হবে।’
একটানা চার দিনের অনুশীলনের পর ৯ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানেও এক দিনের রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তারা। ১১ অক্টোবর থেকে পুনরায় অনুশীলন শুরু করবেন মুশফিক-সাকিবরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২ ও ১৪ অক্টোবর আইসিসি আয়োজিত দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বাছাইপর্ব টপকে মূলপর্বে অতীতের রেকর্ড ছাড়াতে চান রিয়াদ।
বলেন, ‘যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলে বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো জিতে মূল পর্বে যাই তাহলে আমরা চেষ্টা করব যত বেশি ম্যাচ জেতা যায়। যেহেতু আগের বিশ্বকাপগুলোতে আমাদের খুব একটা সুখকর স্মৃতি নেই, আমরা চেষ্টা করতে সেই দেয়াল ভাঙতে পারি। আপনি বলতে পারবেন না এই ফরম্যাটে কখন কি আসবে।’
১৫ অক্টোবর ওমানে ফিরবে বাংলাদেশ। সেখান থেকে বিশ্বকাপের মূল লড়াই শুরু করবে তারা। সেখানে আর ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন হবে না। মূল পর্ব বা সুপার টুয়েলভে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রথম রাউন্ড টপকাতে হবে বাংলাদেশকে।
প্রথমবার রিয়াদের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। বিষয়টিকে সম্মানের সঙ্গে দায়িত্বের মনে করছেন রিয়াদ। অধিনায়ক বলেন, ‘এটি সম্মানের বিষয়। আমি সম্মানিতবোধ করছি। একই সঙ্গে এটা আমার জন্য অনেক বড় দায়িত্ব। সবাই মিলে চেষ্টা করব এবং সবাই যেন নিজেদের দায়িত্বটা ভাগ করে নিতে পারি এবং আমরা দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারি।’
বাছাইপর্বে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির।
১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে মাহমুদুল্লাহর দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ ছয় আসরের মূল পর্বে মাত্র একটি ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল তারা।