সাফ মিশনের যাত্রাটা জয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা অধ্যায়ের সমাপ্তি। এখন নতুন অধ্যায় সামনে এসেছে। চিরচেনা ও সাফের সবচেয়ে ফেভারিট ও শক্তিশালী দল ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে লাল-সবুজরা। ভারতের সঙ্গে নামার আগে দলের অনেক জায়গায় ঢেলে সাজাতে হবে বাংলাদেশকে।
ডিফেন্স, মাঝমাঠ ও আক্রমণ তিন জায়গায় উন্নতির অনেক সুযোগ রয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের।
লঙ্কা ম্যাচে জয় পেলেও দলের খেলায় মন ভরেছে কী না এমন প্রশ্ন রয়েই গেছে। প্রশ্নটা অবান্তর নয়। নয় অমূলকও।
প্রথম ম্যাচে ডিফেন্সে রদবদল, অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে বসিয়ে রাখা, মাঝমাঠে সৃজনশীলতা হারানো, আক্রমণভাগে সমন্বয়হীনতা। অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব বের করতে হবে কোচ অস্কার ব্রুজনকে।
ভারত ম্যাচের আগে এসব জায়গায় কাজ করতে হবে স্বীকার করেছেন দলের সহকারী কোচ মাহবুব রক্সি।
তিনি বলেন, ‘অস্কার ব্রুজন যেভাবে চেয়েছেন ঠিক সেভাবেই খেলোয়াড়রা মাঠে খেলেছে। শুধু ফিনিশিংয়ের জায়গায় কাজ করতে হবে। ফিনিশিংয়ে স্কিল ও ভাগ্যেরও কিছুটা দরকার হয়। হাতে দুই দিন আছে সময় আমাদের। আমরা ভারতের বিপক্ষে নামার আগে দলের এই জায়গাগুলোতে কাজ করব।’
শ্রীলঙ্কা ম্যাচে দাপট দেখালেও বাংলাদেশের খেলায় সমন্বয়হীনতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে দলে এখনও বন্ডিংয়ের ঘাটতি আছে। সেই কথা অকপটে স্বীকার করেন জাতীয় দলের উইঙ্গার ইব্রাহিম।
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা ক্লাবে ছিলাম তাদের সঙ্গে কোচের বোঝাপড়া ভালো। কিন্তু যারা বাইরের ক্লাব থেকে আসতেছে ওদের সঙ্গে আন্ডারস্টান্ডিং হতে সময় লাগতেছে। কারণ এক সপ্তাহ এমন একটা টুর্নামেন্ট খেলার জন্য যথেষ্ট সময় নয়।’
শনিবার হালকা অনুশীলন করে জাতীয় ফুটবল দল। ছবি: বাফুফে
এসব ঠিক করে ভারত ম্যাচে খেলতে মুখিয়ে আছে পুরো দল। যুব ভারতীতে যে কাজটা অধরা ছিল মালেতে সেটা ষোলোয়ানা পুষিয়ে দিতে চান ফুটবলাররা।
ইব্রাহিম বলেন, ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। আমাদের সকল প্লেয়ার এই ম্যাচটা খেলার জন্য এক্সাইটেড। আমি ব্যক্তিগতভাবেও এক্সাইটেড। কেননা সল্টলেকে যে ম্যাচটা খেলেছিলাম, আমরা ভালো খেলেও জয় নিয়ে আসতে পারি নাই। সাফের মাধ্যমে যদি ওটা (জয়) হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।’
জ্বর থেকে সেরে উঠে প্রথমবার দলের সঙ্গে সোহেল রানার অনুশীলন দলে স্বস্তি ফিরিয়েছে।
ভারত ম্যাচে নামার সম্ভাবনা দেখছেন সোহেল, ‘শরীরটা একটু উইক আছে আমার। সামনে দুইদিন আছে। আশা করছি ফিরতে পারব। প্রথম অনুশীলন করে মনে হচ্ছে ভারত ম্যাচে মাঠে থাকতে পারব। খেলতে পারব কী না এটা কোচের উপর নির্ভর করবে।’
ভারত জুজু কাটাতে হলে দলের ঘাটতি পূরণের কোনো বিকল্প নেই। এখন দেখার পালা দলটাকে এই দুই দিনে কতটুকু প্রস্তুত করতে পারছেন অস্কার ব্রুজন।