রাত পোহালেই মালদ্বীপের সবুজ ঘাসে সাফের মিশনে নামবে বাংলাদেশ। শিরোপা পুনরুদ্ধারের এই মিশনে প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলবে জামাল ভূঁইয়ারা। পুরনো খেলা পাল্টে মাঠে ভিন্ন কিছু দেয়ার অপেক্ষায় জাতীয় দলের প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজন।
শুক্রবার মালদ্বীপের জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় লঙ্কানদের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
প্রথমটা ম্যাচটায় নিজেদের ঢেলে নতুন রূপে নামার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ অস্কার ব্রুজন। জেমি ডের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর সাফ ফুটবল তার প্রথম অ্যাসাইন্টমেন্ট। ভিন্ন কিছু উপহার দিতে চান এই স্প্যানিয়ার্ড।
ব্রুজন বলেন, ‘সাফে ভালো করার বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। এলিটা, সোহেল ও রেজাকে ছাড়াও দলে অন্য সেরা খেলোয়াড়রা আছে। আমার বিশ্বাস ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করে আসতে পারব আমরা।
‘আমি সবার মধ্যে ইতিবাচক ধারণা ছড়িয়ে মাঠে সেরাটা দিতে চাই। এক সপ্তাহে দলকে প্রস্তুত করা কঠিন তবে সম্ভব। বেশি কিছু বলতে চাই না। শুধু বলব আমরা ভিন্নভাবে মাঠে নামব।’
টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দল শ্রীলঙ্কা। তাদের অবস্থান ২০৫তম এবং বাংলাদেশের ১৮৮। মুখোমুখি লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে লাল-সবুজরা। ১৬ বারের মুখিমুখিতে বাংলাদেশের জয় ১০টি আর শ্রীলংকার চার ও দুটি ড্র হয়েছে।
সর্বশেষ জয়টি বাংলাদেশের। ঘরের মাটিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে লঙ্কানদের ৩-০ ব্যবধানে হারানোর তাজা সুখস্মৃতি আছে জামালদের।
এই ম্যাচেও সেরাটা দিয়ে জয় পেতে চান দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করব। ৯০ মিনিট ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খুব ভালো করব আশা করছি।’
গোলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের জাল সুরক্ষা করাই মূল দায়িত্ব মনে করেন জামাল, ‘আমরা সবাই গোলের সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। পাশাপাশি ক্লিনশিট (গোল না খাওয়া) বজায় রাখব। এই দুয়ের সমন্বয় হলে আশা করি জিততে পারব।’
লঙ্কানদের ম্যাচ সামনে রেখে মনোযোগী জাতীয় ফুটবল দল। ছবি: বাফুফে
তিন প্রবাসী থাকা দল নিয়ে খুব একটা উচ্ছাসা নেই শ্রীলঙ্কার বসনিয়ান কোচ আমির আলাগিকের। দলের বাস্তবতা তুলে ধরেন এই কোচ।
আমির আলাগিকের বলেন, ‘শ্রীলংকার করোনা পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল। আমাদের অনেক খেলোয়াড় পজিটিভ ছিলেন। কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর খেলোয়াড়রা অনেক দিন ম্যাচের বাইরে। অন্য দেশগুলোর চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই পিছিয়ে রয়েছি।’
সাফে বাংলাদেশ সবশেষ ফাইনালে খেলে ২০০৫ সালের করাচিতে। আর শেষবারের মতো সেমিফাইনাল খেলেছে ২০০৯ সালে ঢাকার টুর্নামেন্টে। গত চার আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ।