আবারও বাংলাদেশের সামনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল। টুর্নামেন্টটি প্রথমে হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। পরে করোনার কারণে চলে যায় মালদ্বীপে। দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপখ্যাত এই টুর্নামেন্ট যখনই সামনে আসে তখনই দুঃখ বিলাসে ভাসতে হয় বাংলাদেশকে।
গত ১৮ বছর ধরে যে শিরোপা খরায় ভুগছে লাল-সবুজরা। ২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে শিরোপা পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
মাঝের চার আসরে শিরোপা তো দূরের কথা সেমিফাইনালেও ওঠা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের। কোচ এসেছেন, কোচ বিদায় নিয়েছেন। দলের অনেক খেলোয়াড় এসেছেন। তারপরও অধরা সাফ শিরোপা।
এবার টুর্নামেন্টের ঠিক আগে প্রধান কোচ জেমি ডেকে সরিয়ে জাতীয় দলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অস্কার ব্রুজনকে। ফেডারেশনের আশা, শিরোপা জিতবে বা অন্তত ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ।
কোচ বদলের পর ভাগ্য বদল হবে বলে প্রত্যাশা বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের। ‘অস্কার ব্রুজনের অধীনে সাফের ফাইনালে খেলতে পারে বাংলাদেশ’, এমন আশাবাদ তার।
গত তিন বছরে জেমি ডের অধীনে খেলে যাওয়া দলটি এখন নতুন কোচের কৌশল মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। সেই হিসেবে মাত্র ছয় দিনের প্রস্তুতিতে সাফে নামতে চলেছে অস্কার ব্রুজনের দল।
এই কয়দিনে ডের কৌশল ঝেড়ে নতুন কৌশলে ফুটবলাররা কতটা মানিয়ে উঠবেন সেটা একটা প্রশ্ন হতে পারে। তবে অস্কার নিজে আত্মবিশ্বাসী।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে যে গল্প হয় যে, রক্ষণ করতে পারে না, গোল দিতে পারে না এই বিশ্বাস ভেঙে দেব।’ মালদ্বীপে এক অক্টোবর থেকে শুরু সাফের আসর। প্রথম দিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের সাফের মিশন।
অন্তর্বর্তীকালীন কোচ অস্কার ব্রুজনের অধীনে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল। ছবি: বাফুফে
অতীত বলছে, সাফে সবশেষ ১২ ম্যাচে মাত্র তিনবার জয় খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার গ্রুপ পর্বের সুযোগ নেই। লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট হবে। শীর্ষ দুই দল ফাইনাল খেলবে।
ভারত-নেপালসহ ঘরের মাঠে মালদ্বীপ ভয়ংকর প্রতিপক্ষ। মালদ্বীপ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। ভারত সর্বোচ্চ সাতবারের চ্যাম্পিয়ন। একই সঙ্গে ফেবারিট টুর্নামেন্টের। নেপালও আছে ভালো ফর্মে।
এই চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত অস্কার। বলেন, ‘নেপাল আর মালদ্বীপ আমাদের প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বি। আশা করছি ফাইনালে খেলব। আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
সাফে বাংলাদেশ সবশেষ ফাইনালে খেলে ২০০৫ সালের করাচিতে। আর শেষবারের মতো সেমিফাইনাল খেলেছে ২০০৯ সালে ঢাকার টুর্নামেন্টে।সাফে লাল-সবুজদের সেরা সময় গেছে ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত। এই তিন আসরে তারা ফাইনালিস্ট। শিরোপায় হাত ছোঁয়ানো ২০০৩ সালে নিজ মাঠে।