ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। মাউরো ইকার্দির শেষ মুহূর্তের গোলে অলিম্পিক লিঁওকে ২-১ গোলে হারায় পিএসজি।
পিএসজির মাঠ পার্ক দ্যে প্রিন্সেসে প্রথমবার খেলতে নেমে ছিলেন লিওনেল মেসি। উপস্থিত হাজার চল্লিশেক দর্শককে হতাশ হতে হয়নি। প্রথমার্ধে নিজের সেরা রূপেই ছিলেন ছয়বারের ব্যালন ডর জয়ী।
প্রথম ৪৫ মিনিট ঘরের দলের খেলার গতি ও ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। একেবারে শুরুতে সুযোগ পান দলকে লিড এনে দেয়ার।
তবে ১৭ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের পাস থেকে মেসির নেয়া শট ঠেকিয়ে দেন লিঁও গোলকিপার অ্যান্থনি লোপেস।নেইমার-মেসি জুটি ভোগাচ্ছিল লিঁওকে। আধঘণ্টার পরপরই নেইমারের ব্যকহিল থেকে বল পেয়ে যান মেসি।
তার নিচু শট ঠেকিয়ে দলকে নিরাপদে লোপেস।
বিরতির আগে নেহায়েত সৌভাগ্যের জোরে রক্ষা পায় লিঁও। ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া মেসির ফ্রি-কিক গোল পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতির পরে লিঁও লিড নিয়ে নেয় ম্যাচে। ৫৪ মিনিটে বাম প্রান্ত দিয়ে টোকো একাম্বির পাস খুঁজে পায় লুকাস পাকেতাকে।
পিএসজির মাঠে দলকে এগিয়ে নিতে ভুল করেননি এই ব্রাজিলিয়ান।
স্বাগতিক দলকে মিনিট দশেক অপেক্ষা করতে হয়ে ম্যাচে ফিরতে। লিঁও ডিফেন্ডার মালো গুস্তো নেইমারকে নিজেদের বক্সে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন।
স্পট থেকে ঠাণ্ডা মাথায় শট নিয়ে স্কোরলাইন ১-১ বানিয়ে দেন নেইমার।
বাকি আধঘণ্টা পিএসজি চেপে ধরে লিঁওকে। ৭৫ মিনিটে উপস্থিত দর্শককে হতবাক করে পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো বদল করেন মেসিকে।
শেষ ১৫ মিনিট দলের খেলা সাইডলাইন থেকে দেখেন বিশ্বসেরা ফুটবলার।
পিএসজির জয় আসে একেবারে শেষ মুহূর্তে। এমবাপের ক্রসে হেড করে দলকে জয়ে এনে দেন ইকার্দি।
এতে করে ছয় ম্যাচে টানা ছয় জয় নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে আছে পিএসজি।