১৮ বছরের অপেক্ষার পর পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে যায় নিউজিল্যান্ড। সিরিজ না খেলে দেশে ফিরে যাচ্ছে ব্ল্যাক ক্যাপস। নিরাপত্তা ইস্যুতে সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগে সিরিজ বাতিল করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের মাঠে যাওয়ার সময় হামলার আশঙ্কাতে বাতিল ঘোষণা করা হয় সিরিজটি।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে আজ বিকেলে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও মাঠে উপস্থিত হননি নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। যার কারণে টসে দেরি হয়।
সে সময় গুঞ্জন ওঠে নিউজিল্যান্ড শিবিরে করোনা আঘাত হানায় দেরি হচ্ছে ম্যাচে। এর কিছুক্ষণ পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে সিরিজ বাতিল করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
এনজেডসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘আমাদের সরকার পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করায় ও নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের পরামর্শে সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
পাকিস্তান বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি) সকালে আমাদের জানিয়েছে, তাদের কাছে নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কাজনক খবর রয়েছে। যে কারণে তারা ঝুঁকি নিতে একেবারেই রাজি নয়।’
এদিকে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ বাতিল করার পরপরই শঙ্কা দেখা দিয়েছে ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফর নিয়েও। নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার ভেতর পাকিস্তান সফর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে তারা।
এক বিবৃতিতে ইসিবি জানায়, ‘আমাদের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করছি। আমরা ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান সফর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে চলে আসব।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। এর আগে সবশেষ ২০০৩ সালে পাকিস্তানে যায় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। নিরাপত্তা ইস্যুতে এতদিন পাকিস্তান সফর থেকে বিরত ছিল ব্ল্যাক ক্যাপস।