১৭ বছর পর লিওনেল মেসিকে ছাড়া ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। সাবেক চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের কাছে রীতিমতো উড়ে গেছে কাতালান জায়ান্টরা। কাম্প ন্যু থেকে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে জার্মানি ফিরেছে বায়ার্ন।
পুরো ম্যাচে অগোছাল ও পরিকল্পনাহীন ছিল বার্সেলোনার খেলা। ছিল আত্মবিশ্বাসের অভাব। রোনাল্ড কুমানের শিষ্যরা বায়ার্নের গতিশীল ফুটবলের সামনে কী করবেন সেটা যেন ভেবে পাচ্ছিলেন না।
শুরু থেকে মাঝমাঠে টমাস মুলার, জামাল মুসিয়ালা ও লেরয় সানেদের জায়গা ছেড়ে দিয়ে রাখে স্বাগতিক দল। ফলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় শুরুতে।
প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে মুলারের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট এরিক গার্সিয়ার গায়ে লেগে বোকা বানায় বার্সেলোনা গোলকিপার মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগানকে।
তবে কিপারের জন্যই দুইবার নিশ্চিত গোলের হাত থেকে রক্ষা পায় বার্সা। প্রথমে সানে ও পরেরবার রবার্ট লেওয়ানডোভস্কির হাত থেকে দলকে নিরাপদে রাখেন এই জার্মান শটস্টপার।
বিরতির পর ভেঙে যায় বার্সেলোনার সব প্রতিরোধ। ৫৬ মিনিটে মুসিয়ালার শট বারে লেগে প্রতিহত হলে রিবাউন্ডে গোল করেন লেওয়ানডোভস্কি।
এরপরে মাঠের কৌশলে বদল আনার চেষ্টা করেন কুমান। ধীরগতির লুক ডি ইয়ংকে উঠিয়ে আক্রমণে নামান ফেলিপে কোতিনিয়োকে। বুস্কেটসকে উঠিয়ে হাভি, আর সার্হি রোবের্তোকে পালটে ইউসুফ দেমিরকে নামান বার্সেলোনা বস।
তবে লাভ হয়নি তেমন। বায়ার্নের আক্রমণ থামাতে বা নিজেরা আক্রমণ সাজাতে পারেনি বার্সেলোনা। মাঝমাঠ ও আক্রমণে ছিল মেসির সৃষ্টিশীলতার অভাব।
৮৫ মিনিটে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন লেওয়ানডোভস্কি। সার্জ জিনাব্রির শট প্রতিহত হলে, এবারও রিবাউন্ড থেকে গোল পান এই পোলিশ স্ট্রাইকার।
ফলে দুই মৌসুম আগে বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলের হারের পরের দেখাতে ৩-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সেলোনাকে।