ইউএস ওপেনে যখন এবার খেলতে নামেন এমা রাডুকানু তখন তার বিশ্ব র্যাংকিং ১৫০। বাছাই তালিকায় ছিলেন না তিনি। কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলে সুযোগ পান মূল পর্বে। অথচ ১৭ দিন পর তার হাতেই শোভা পাচ্ছে বছরের শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যাম।
ফ্ল্যাশিং মিডোজের ফাইনালে কানাডার লেয়লা ফার্নান্ডেসকে সরাসরি সেটে হারিয়ে সেরিনা উইলিয়ামসের পর সর্বকনিষ্ঠ স্ল্যামজয়ী তারকা বনে যান রাডুকানু। শুধু তা-ই নয়, ১৯৭৭ সালে ভার্জিনিয়া ওয়েডের পর প্রথম বৃটিশ নারী হিসেবে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন ১৮ বছরের এই তরুণ তারকা।
তিনটি কোয়ালিফাইং ম্যাচের পর টুর্নামেন্টের ফাইনাল পর্যন্ত কোনো সেট হারেননি রাডুকানু। রোমানিয়ান বাবা ও চীনা মায়ের সন্তান রাডুকানুর জন্ম কানাডায়। কিন্তু বেড়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডে। ফলে এখন বৃটিশদের গর্ব এই টিনেজার।
ইউএস ওপেনের ফাইনালে আরেক টিনেজার লেয়লা ফার্নান্ডেস টুর্নামেন্টে খ্যাতি পান জায়ান্ট কিলার হিসেবে। নেওমি ওসাকা, অ্যাঞ্জেলিক কেরবারদের মতো ঝানুদের হারিয়ে ফাইনালে ওঠা ১৯ বছরের লেয়লা ও ১৮ বছরের রাডুকানুকে ধরা হচ্ছে এখন নারী টেনিসের ভবিষ্যৎ।
দুই ভবিষ্যৎ তারকার শিরোপার লড়াইটা হয়েছে একপেশে। টুর্নামেন্টে নিজের ছন্দ ধরে রেখে ৬-৩, ৬-৪ গেমে ম্যাচ এবং নিজের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতে নেন রাডুকানু।সেরিনা উইলিয়ামস ১৯৯৯ সালে যখন ইউএস ওপেন জেতেন তখন তার বয়স ছিল ১৮। ২২ বছর পর রাডুকানু ১৮ বছর বয়সে জিতলেন গ্র্যান্ডস্ল্যাম।ম্যাচ শেষে রাডুকানু জানান স্কোরলাইন দেখে যেমনটা মনে হচ্ছে ততটা সহজ ছিল না ম্যাচ।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে। খুবই কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। খুবই সেরা পর্যায়ের টেনিস ছিল। আমাকে সেরা খেলাটাই খেলতে হয়েছে।’
এই তরুণ তারকার সাফল্যে ভাসছে গোটা ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথ স্বয়ং তাকে শভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এক বার্তায় রানি বলেন, ‘এত অল্প বয়সে দারুণ এক অর্জন। এটা আপনার পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফসল।’