বাংলাদেশের জার্সি গায়ে গত জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। মাঝখানে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজ চলাকালে পেলেন খুশির খবর। প্রথমবারের মতো শামীম পাটোয়ারী পান বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ।
শামীমের হাত ধরেই ফিরেছে চাঁদপুরের ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্য। তার আগে কোনো খেলোয়াড় নাম লেখাতে পারেননি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খাতায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে শামীমের নাম ঘোষণার পর থেকেই আনন্দে ভাসছে তার পরিবার, স্বজন, ক্রীড়াঙ্গনসহ গোটা চাঁদপুর।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ ও রীনা বেগমের ছেলে শামীম হোসেন পাটোয়ারী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার ছোট।
প্রতিবেশী ও গ্রামের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে শামীমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। এই খুশির দিনে শামীমের প্রথম কোচ চাঁদপুর ক্লেমন অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও বিসিবির চাঁদপুর জেলা কোচ শামীম ফারুকীও সেখানে উপস্থিত হন আনন্দে সামিল হতে।
এক সময় শামীমের খেলারসঙ্গী স্থানীয় সুজন গাজী বলেন, ‘শামীম ছোট বেলা থেকেই খুব ভালো খেলত। আমরা তার খেলা দেখে মুগ্ধ হতাম। অনেক জায়গা থেকেই শামীমকে হায়ার করে নিয়ে গিয়ে খেলাত।’
শামীমের বাবা আবদুল হামিদ পাটওয়ারী বলেন, ‘আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না, কি যে আনন্দ লাগছে আমার। আমার ছেলে দেশের জন্য খেলবে, দেশের মানুষের জন্য খেলবে, এর চেয়ে খুশির আর কী হতে পারে!’
বাবার মতো আনন্দিত শামীমের মা রীনা বেগমও। তিনি বলেন, ‘শামীম নিজে আমাকে ফোন দিয়ে এই খুশির সংবাদ দিয়েছে। আমি যেন আসমানের চাঁদ হাতে পাইছি।
‘আমি সব সময় নামাজ পড়ে আমার ছেলের জন্য দোয়া করি। আমার ছেলে যেন আরও অনেক দূরে যেতে পারে, দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে। সকলে তার জন্য দোয়া করবেন।’
শামীমের প্রথম কোচ শামীম ফারুকী বলেন, ‘প্রথম দেখাতেই বুঝতে পেরেছিলাম ছেলেটা প্রতিভাবান। তারে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। আজ বাস্তবেও তা পূরণ হয়েছে। শামীমের হাত ধরে চাঁদপুরের কোনো খেলোয়াড় প্রথমবারের মত জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপেও খেলার সুযোগ পাচ্ছে।’
শামীমের খেলার ধরন নিয়ে তার এই কোচ বলেন, ‘শামীম খুব ভালো হিট করতে পারে। কোনো অবস্থাতেই সে ভয় পায় না। ডরভয়হীন খেলাই শামীমের ট্রেডমার্ক। একই সাথে শামীমে শক্তির জায়গা হচ্ছে তার ফিল্ডিং।’