কারা থাকছেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপের স্কোয়াডে, সেটা আগে থেকেই অনেকটা অনুমান করা যাচ্ছিল। অপেক্ষাটা ছিল শুধু আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের। বৃহস্পতিবার সেটিও এসে গেল। ঘোষণা করা হলো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দল।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ জনের দল থেকে বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি রুবেল হোসেন, তাইজুল ইসলাম, মোসাদ্দেক সৈকত ও আমিনুল ইসলামের। তবে রুবেল ও আমিনুলকে রাখা হয়েছে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে।
মূলত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা স্কোয়াড থেকেই দল বেছে নিয়েছে বিসিবির নির্বাচক প্যানেল। যেহেতু তামিম ইকবাল নিজেকে সরিয়ে নেন বিশ্বকাপ থেকে, তাই আগে থেকে মোটামুটি অনুমান করা গেছে কারা থাকছেন বাংলাদেশের ১৫ জনের স্কোয়াডে।
বিশ্বকাপ দল নির্বাচনে নির্বাচকদের আর কোনো অপশন বা পছন্দ ছিল না বলে মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম। দল বিশ্বকাপের জন্য উপযুক্ত হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
নিউজবাংলাকে এমনটাই বলেন জাভেদ ওমর। একই সঙ্গে তামিমের না থাকাতে ওপেনিংয়ে দলের মানসিক শক্তি কিছুটা কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
বেলিম বলেন, ‘দল তো আগে থেকেই জানতাম কোনো চমক নেই, আসলে কোনো চয়েজও ছিল না। তামিম থাকলে হয়তো ওপেনিং স্লটে দল মানসিকভাবে কিছুটা শক্তি পেত। যেহেতু একটি বড় স্টেজ, সেখানে অভিজ্ঞতাটা খুব দরকার হয়। এ ছাড়া সব ঠিকই আছে। এমন তো না যে কোনো বিকল্প ছিল। যা নিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স দেখেই নিয়েছে।’
তবে তামিমের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারত দলে মনে করেন সাবেক এই তারকা।
বেলিম বলেন, ‘সৌম্যকে রাখা হয়েছে কারণ সে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে পারফরম করেছে। তামিম থাকলে হয়তো তাকে নিয়ে চিন্তা করত টিম ম্যানেজমেন্ট। তখন সে বাদ পড়তে পারত।’
বিশ্বকাপের জন্য চারজন পেইসার নিয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে আছেন পার্ট টাইম পেইসার সৌম্য সরকার। স্ট্যান্ডবাই রয়েছেন রুবেল হোসেন। অপরদিকে দলে নেয়া হয়েছে দুই স্পিনার আর দুই স্পিন অলরাউন্ডার।
কন্ডিশনের কথা ভেবেই স্পিনারের চেয়ে পেইসার বেশি নেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বেলিম।
তিনি বলেন, ‘তিন স্পিনারের সঙ্গে একজন ব্যাকআপ স্পিনার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আছে। সে টি-টোয়েন্টিতে ভালো বল করে। আর পেইসার বেশি নেয়া হয়েছে কারণ কন্ডিশনটা স্পিনারদের নাও হতে পারে। স্পিনাররা রান দিতে থাকলে ফাস্ট বোলাররা সেটা চেক দেবে।’
অক্টোবরের ১৭ তারিখ থেকে শুরু হবে বাংলাদেশের বাছাইপর্বের লড়াই। সেখানে বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হবে ওমান, স্কটল্যান্ড এবং পাপুয়া নিউগিনিকে। এই পর্বে বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স আপ হলেই মিলবে মূল পর্বে খেলতে পারার সুযোগ।