বাংলাদশের জাতীয় দলের নিয়মিতরাই জায়গা পেয়েছেন বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াডে। যেখানে রয়েছে বিশ্বকাপের মঞ্চে ছয় নতুন মুখ; প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে যাবেন তারা।
সেই সঙ্গে রুবেল হোসেন ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে রাখা হয়েছে স্ট্যান্ড বাই ক্রিকেটার হিসেবে।
লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটারদের হোম ও অ্যাওয়ে পারফরম্যান্স দেখে সাজানো হয়েছে এই দল। দল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটা জানান জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।
বছরের শুরুটা বাংলাদেশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে। এরপর নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে খেলছে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। কোন কন্ডিশনে কে কেমন পারফর্ম করেছে সেটা দেখে ডাকা হয়েছে বিশ্বকাপে।
মিনহাজুল বলেন, ‘সব ধরনের খেলা দেখা হয়। এটাও দেখা হয় যে বিদেশে কে কেমন খেলবে। কতটুকু ভাল খেলবে সেটাও মাথায় রাখা হয়। ঘরে আমরা একরকম ক্রিকেট খেলি আর বাইরে অন্যরকম। দুটার সামঞ্জস্য করে দল সাজানো হয়।’
তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে বিশ্বকাপের মতো আসরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এখনই তাদের ওপর বিশ্বকাপে বাড়তি প্রত্যাশার চাপ দিচ্ছেন না নির্বাচকেরা। ওমানের কন্ডিশনে অনুশীলন করার পর খেলোয়াড়দের অবস্থা দেখে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্যটা নির্ধারণ করা হবে বলে জানান মিনহাজুল।
মিনহাজুল বলেন, ‘সবচেয়ে বড় হলো প্রথম রাউন্ডটা। এটা শেষ করার পর কিন্তু পরিকল্পনা করা হবে কতটুকু যেতে পারব। আমরা ওমানে গিয়ে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ যখন খেলবো তখন থেকে বিশ্বকাপের বিষয়টা শুরু হবে যে কতদূর যেতে পারব। এখান থেকে কিছু বলা মুশকিল।’
নিজেদের প্রথম ম্যাচের দিন দশেক আগে মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছাবে। সেখানে একটি বা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছে বিসিবি।